কাঠ চুরিতে অভিযুক্ত প্রধানের শাস্তির দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ ও শান্তিপুর ব্লকের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। সোমবার শান্তিপুরের বেলগড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এলাকার লোকজন বিষয়টি রানাঘাটের মহকুমা শাসককেও লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।
বছর কয়েক আগে পঞ্চায়েত পাশ দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথীর ধার থেকে গোটা কয়েক গাছ চুরি করে চম্পট দিচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। সে সময় এলাকার লোকজন ওই গাছ উদ্ধার করে। অভিযোগ, এ দিন পঞ্চায়েত কার্যালয়ের চৌহদ্দি থেকে প্রধান ওই গাছের গুড়ি ভ্যানে করে সরিয়ে দেন। গ্রামের লোকজন প্রধান শ্রীদাম প্রামাণিক ও উপপ্রধান সুনীল বসাককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে প্রধান ও উপ প্রধান ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। এরপর গ্রামের লোকজন পঞ্চায়েতের সামনেই প্রধানের শাস্তির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গনেশ রায় বলেন, ‘‘গাছ বিক্রি করতে গেলে সেই সিদ্ধান্ত সাধারণ সভায় পাশ করাতে হবে। দরপত্র ডাকতে হয়। কিন্তু সে সব নিয়ম মানা হয়নি।’’ প্রধান তৃণমূলের শ্রীদামবাবু বলেন, ‘‘কাঠগুলো রোদ-জলে পচে নষ্ট হচ্ছিল। তাই বিক্রি করে করেছিলাম। ওই অর্থ পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে জমা করা হত।’’ মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’’