শতরানের পর শুভমন। ছবি: পিটিআই।
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করে তার জবাব দিয়েছেন। চেন্নাইয়ের পিচে শুভমন গিলের শতরান ভারতকে শক্তি ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে তো বটেই। বাংলাদেশের সামনেও কঠিন লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। কী ভাবে শাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজকে সামলে শতরান করলেন তা খেলা শেষের পর ব্যাখ্যা করেছেন শুভমন।
শনিবার খেলা শেষে শুভমন বলেছেন, “ছোটবেলায় স্পিনারদের বিরুদ্ধে অনুশীলনের সময় ক্রিজ় ছেড়ে এগিয়ে এসে খেলতাম। এখানেও সেটাই করেছি। এখানে বোলারদের থিতু হতে দিলে চলবে না। কারণ কোনও বল ঘুরছে আবার কোনওটা ঘুরছে না।”
শুভমনের কৌশল বোঝা যায় ম্যাচের ৬৪তম ওভারে। এগিয়ে এসে মেহেদি হাসানকে ছয় মারেন। তার আগের ওভারে শাকিব আল হাসানকেও একই কায়দায় চার মারেন। শুভমন জানিয়েছেন, স্পিনারদের বিরুদ্ধে পায়ের নড়াচড়া আগের চেয়েও ভাল হয়েছে তাঁর।
শুভমনের কথায়, “ছোটবেলা থেকেই স্পিনারদের খেলার সময় পায়ের নড়াচড়ার দিকে নজর দিয়েছি। আমি লম্বা। তাই পায়ের নড়াচড়া এবং মাটি ঘেঁষা শট খেলতে সুবিধা হয়। আকাশে শট খেলা বা ছয় মারতে শিখেছি অনেক পরে। তখন শরীরে আগের থেকে বেশি জোর হয়ে গিয়েছিল।”
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান করতে পেরে তৃপ্ত শুভমন। ভারতীয় ওপেনারের কথায়, “যে কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই রান করতে পারলে অনেকটা আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। সেই কাজই করার চেষ্টা করি। তাই স্পিনারদের আক্রমণ করায় অনেকটা তৃপ্ত। সিরিজ়ের আগে অনেক অনুশীলন করেছি।”
সতীর্থ ঋষভ পন্থকেও কুর্নিশ করেছেন শুভমন। তাঁর কথায়, “মাঠ এবং মাঠের বাইরে ওর সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। তাই ওকে প্রথম ৫০ বা ১০০ করতে দেখে খুব খুশি। কঠোর পরিশ্রম করেছে পন্থ। ও রকম একটা দুর্ঘটনা সারিয়ে উঠেছে। আশা করি ও নিজেও খুব খুশি।”