crpf

Samsherganj Election: সব বুথে সেনা চান সব প্রার্থীই

শমসেরগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার পূর্ণদেব মালাকার নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

Advertisement

বিমান হাজরা

শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

ভোটের দিন শমসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন সব দলের প্রার্থীরাই। সব দলের প্রার্থীদেরই আশঙ্কা, সেখানে ভোট লুঠের চেষ্টা করবে কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী।
এ নিয়ে প্রকাশ্য সভাতেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ৭০টি বুথে ভোট লুঠের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

শমসেরগঞ্জের এক দিকে ঝাড়খণ্ড, অন্য দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত চর। গত কয়েক দিন থেকে শমসেরগঞ্জে যে ভাবে প্রার্থীদের একে অপরকে আক্রমণ করা হয়েছে প্রকাশ্য সভা থেকে, তাতে বৃহস্পতিবারের নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভীতির ভাব রয়েছে। ইতিমধ্যেই বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে এক সিপিএম নেতা ও এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে। কংগ্রেস সমর্থক মহিলারা ভোট প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শাসক দলের লোকজনের হাতে কয়েক জন স্থানীয় সাংবাদিকও প্রহৃত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মঙ্গলবার সকালে। পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে অভিযোগও। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

শমসেরগঞ্জের রিটার্নিং অফিসার পূর্ণদেব মালাকার নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তবে প্রশাসনের একটি সূত্রে বলা হয়েছে প্রতিটি বুথেই এ বারে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে ভোটের দিন।
সিপিএম নেতা তোয়াব আলি এদিন সরাসরি অভিযোগ করেছেন, “শমসেরগঞ্জে কেন্দ্রীয় বাহিনী এক দিন মুখ দেখিয়ে কোথায় ডুব মেরেছে, তাদের আর দেখা নেই। খবর রয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও বিভিন্ন জায়গা থেকে দুষ্কৃতীদের আনা হচ্ছে বুধবার শমসেরগঞ্জে।” তোয়াবের অভিযোগ, “এই পরিবেশে কত মানুষ শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে যেতে পারবেন, তাতে সংশয় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের যে দায়বদ্ধতা, তার কোনও ছবি বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না।”

Advertisement

কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, “আতঙ্কের পরিস্থিতি কাটিয়ে যাতে সকলেই ভোট দিতে পারে তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। আমরা নির্বাচনের কমিশনের রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি। বিডিওকে বলেছি সর্বদলীয় বৈঠকে। কোথায় কোথায় গোলমালের আশঙ্কা আছে তাও বলেছি। মানুষ যাতে অবাধে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে। এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মেলেনি। আমরা চেয়েছি সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। বাহিনী না থাকলে ভোট লুঠের আশঙ্কা রয়েছে।” তৃণমুলের ব্লক সভাপতি শহিদুল ইসলামও বলছেন, “গতকাল গোপন বৈঠক হয়েছে কংগ্রেসের। তাতে নাকি বুথ দখলের পরিকল্পনা নিচ্ছে তারা এ খবর এসেছে। তাই আমরাও চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক সব বুথে। তবে কর্মীরাও তৈরি আছে। বুথ দখলের চেষ্টা হলে কর্মীরা প্রতিরোধ করবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement