প্রতীকী ছবি।
প্রায় এক মাসের চেষ্টায় জোগাড় করেছিলেন একটি ‘ওয়ান শটার পিস্তল’ এবং দু’রাউন্ড গুলি । বহরমপুর লাগোয়া গজধরপাড়ার বাসিন্দা হাসিবুল শেখ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু মাইনুলের সম্পর্ক কথা জানতে পেরেই খুনের ছক কষেছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
টানা চার দিনের জেরার পর ধৃত হাসিবুল খুনের কথা কবুল করেছেন বলে বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানান, প্রথমে হাসিবুলের পরিকল্পনা ছিল ছুরি বা কাটারি জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মইনুলকে কুপিয়ে খুন করার। পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করেন হাসিকুল। তার বদলে পরিচিত এক জনের থেকে একটি পিস্তল নিয়ে এসে বাড়িতে রেখেছিলেন ঘটনার দিন কয়েক আগে। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত শনিবার মইনুলকে বাড়িতে ডেকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করেন হাসিকুল। ঘটনার পর দিন সাগরপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশি জেরায় প্রথমে মুখ খুলতে অস্বীকার করলেও পরের দিকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে হাসিবুল খুনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত জানায় পুলিশকে। জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছেন। কোথা থেকে অস্ত্র পেলেন-সহ বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া এখনও বাকি রয়েছে। তাই ধৃতকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জেরা চলছে।’’
বহরমপুরের ভাকুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চুমরিগাছা এলাকায় হাসিকুল ও মাইনুলের বাড়ি। বহু বছর ধরে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। দুজনে একটি গ্যাস কোম্পানির গাড়ি চালাতেন। ঘটনার দিন শনিবার বিকালে মদ খাওয়ার জন্য মাইনুলকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করে বুকে গুলি চালিয়ে খুন করেন হাসিকুল। এর পর দেহ ফেলে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে সাগরপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।