—প্রতীকী চিত্র।
শিশুকন্যা খুনের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ছ’দিন। তার দেহের খোঁজ চলছিল। অবশেষে শুক্রবার গঙ্গার একটি ঘাট থেকে একরত্তির দেহ দেখতে পেলেন স্থানীয়রা। খবর যায় পুলিশে। তার পরই দেহ চিহ্নিত করেছে মৃতের পরিবার।
মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানা এলাকার পুরোনো সিকদারপুর এলাকার বাসিন্দা সুমা খাতুনের দু’বছর দু’মাস বয়সী শিশুকন্যা সাহানা খাতুন বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে হারিয়ে যায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায়। বেশ কিছু ক্ষণ তার খোঁজ করার পর এক প্রতিবেশীর কাছে খবর পাওয়া যায় শিশুটির। জানা যায় মায়ামান বিবি নামে এক মহিলা শিশুটিকে কোলে নিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, শিশুটির গলা এবং হাতে থাকা অলঙ্কার ছিনিয়ে নিতে তাকে ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন মায়ামান। ওই মহিলা জানান, ঋণের টাকা জোগাড় করতে না পেরে তিনি এই কাজ করেছেন। গয়না নিয়ে নেওয়ার পর ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ফেলে দেন গঙ্গায়।
অভিযুক্তকে আটকে রেখে সমশেরগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে খবর দেন স্থানীয়রা। তার পর পুলিশ এসে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। তদন্তে উঠে আসে ঋণের কিস্তির টাকা জোগাড়ের জন্য শিশুটির কানের দুল এবং হাতের বালা চুরি করেন অভিযুক্তা। তার পর থেকেই শিশুটির দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিল পুলিশ। ছ’দিনের প্রচেষ্টা শেষে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় ওই শিশুকন্যার দেহ। এর মধ্যে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
মৃত শিশুটির মা সুমা খাতুন জানান ‘‘সম্পর্কে পিসি মায়ামান সামান্য লোভে আমার মেয়েকে যে ভাবে খুন করেছে তাতে ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’’