আজ পরীক্ষা আবু তাহেরের

তৃণমূল ভবনে এক বৈঠকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি হিসেবে আবু তাহেরের নাম ঘোষণা করে ছিলেন মাস কয়েক আগে। দলের অন্দরের খবর, তাতে অনেকেরই যে কপালে ভাঁজ পড়েছিল।

Advertisement

শুভাশিস সৈয়দ

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪২
Share:

আবু তাহের।

নামে এনআরসি বিরোধী সভা। দলীয় কর্মীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, মঙ্গলবারের সভা আসলে তাঁর নিজের শক্তি প্রদর্শনের সভা, তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের প্রথম চ্যালেঞ্জ! বহরমপুর ওয়াইএমএ ময়দানে এনআরসি বিরোধী সভার আয়োজন করেছে জেলা তৃণমূল। ওই সভায় লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। সভায় থাকার কথা তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সকলের— পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী থেকে মহুয়া মৈত্র। তাঁদের সামনে নিজের ‘দাপট’ প্রদর্শনের সুযোগে তাহের কতটা সফল হন প্রশ্ন সেটাই।

Advertisement

তৃণমূল ভবনে এক বৈঠকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি হিসেবে আবু তাহেরের নাম ঘোষণা করে ছিলেন মাস কয়েক আগে। দলের অন্দরের খবর, তাতে অনেকেরই যে কপালে ভাঁজ পড়েছিল। সেই চাপা অসন্তোষের জবাব দিতে এবং সভাপতি হওয়ার পরে তাঁর রাজ্য নেতাদের সামনে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং কর্মী-সমর্থকদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরার সুযোগ এ দিনের সভায়।

সেই মতো সভায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য জেলার বিভিন্ন রুটের বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই গাড়িগুলি যানজট পেরিয়ে বহরমপুর শহরে ঢুকতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, কান্দি মহকুমা-জঙ্গিপুর মহকুমা ছাড়াও নবগ্রাম ব্লক থেকে যে সমস্ত কর্মী-সমর্থক আসবেন, তাঁদের রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সেতু পেরিয়েই বহরমপুরে ঢুকতে হবে। সে ক্ষেত্রে ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হবে। তাহের গোষ্ঠীর এক নেতা বলছেন, ‘‘বহরমপুরে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় কৃত্রিম যানজট তৈরি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন দলেরই এক শ্রেণির নেতা। জেলা সভাপতি যাতে সভা ভরাতে না পারেন সে জন্য কৃত্রিম যানজট তৈরি করে দেওয়া থেকে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মাঠে হাজির না করার রাজনীতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

তৃদলের তাহের ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘কান্দি থেকে নওদা, ডোমকল থেকে সাগরদিঘি, তাহেরের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা চাননি তাহের দলের ওই দায়িত্ব পান। কিন্তু দলনেত্রী সে কথা শোনেননি। মুর্শিদাবাদের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলার সভাপতি হিসেবে তিনি তাহেরকেই বেছে নিয়েছিলেন। এতে গোসা হয় ওই নেতাদের, তাঁদের সামনে এখন সেই সুযোগ, মাঠ না ভরাতে পারলে তাহেরের মুখে অদৃশ্য চুনকালি মাখাতে গোপনে হাত পাকাচ্ছেন তাঁরা!’’ দলের মুখপাত্র অশোক দাস বলছেন, ‘‘চ্যালেঞ্জটা দলের।’’ তাহের বলছেন, ‘‘এত বড় দল, সকলেই যে সকলকে পছন্দ করবেন তা তো হয় না। দু’চার জন বিরোধী তো থাকবেনই। কিন্তু তাঁরা সভা সফল না করার চেষ্টা করলে নিজেরাই বিপদে পড়ে যাবেন।’’

কে বিপদে পড়েন এখন দেখার সেটাই!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement