অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণার আগেই চেয়ার ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। জেলা কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করার আগে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আবু তাহের। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যানও তিনি। যদিও আবু তাহেরের এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শাওনি সিংহরায়। বুধবার এই কাণ্ডের পর প্রকাশ্যে এসেছে বহরমপুরে তৃণমূলের চেয়ারম্যান এবং সভাপতির দ্বন্দ্ব।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্ব, জেলার সাংসদ, বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিদের নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, অভিষেকের নির্দেশেই এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে আনুষ্ঠানিক সমর্থন মেলেনি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণার কথা ছিল। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জেলা কমিটি ঘোষণার জন্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাওনি। ২১১ জনের জেলা কমিটি ঘোষণা করেন তিনি। জেলা কমিটি প্রকাশ্যে আসার আগে সেই তালিকা দেখে নেন আবু তাহের। সেই তালিকা দেখেই তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন । ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমাকে না জানিয়েই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’ এই বলে তিনি বেরিয়ে যান বহরমপুর জেলা তৃণমূলের দলীয় অফিসের বাইরে। অতঃপর, শাওনি রাজ্য নেতৃত্বের দেওয়া তালিকা ঘোষণা করেন।
আবু তাহেরের ক্ষোভপ্রকাশ নিয়ে শাওনি বলেন, ‘‘সাংসদ অসত্য বলছেন। কলকাতার নির্দেশে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নতুন এবং পুরনোর মেলবন্ধন ঘটেছে এই কমিটিতে।’’ তাহেরের ক্ষোভপ্রকাশ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’