বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দাদাকে মারার অভিযোগ উঠল। প্রতীকী ছবি।
বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দাদাকে মারার অভিযোগ উঠল। সোমবার গভীর রাতের ঘটনা। আহত যুবককে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ও অভিযুক্ত, দু’জনেরই বাড়ি কাছাকাছি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুজন শীল। অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে এক মহিলা জানান, কেন তাঁর পরিবারের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানেন না।
আজ বুধবার তাকে বহরমপুরে সিজেএমের এজলাসে তোলা হবে। পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘এক জন অন্য জনের পেটে ভোজালি চালিয়ে দিয়েছে। তা জানার পরে পুলিশ গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
ভোজালির কোপে আহত যুবক জানিয়েছেন, ‘‘সুজন শীল নামে এক যুবক আমার বোনের পিছনে লাগত। এর আগেও দু’তিন বার নিষেধ করেছিলাম। তখন সে এ সব করবে না বলে কথা দিয়েছিল। ফের দু’তিন সপ্তাহ থেকে একই ভাবে আমার বোনের পিছেনে লাগা শুরু করেছিল। তখন অভিযুক্তের বাবাকে ফোন করে পুরো ঘটনা জানাই। তখন ওর বাবা ছেলেকে বোঝাবেন বলে আমাকে কথা দেন। তার পরেই সুজন শীল বলে তার সঙ্গে দেখা না করলে আমার বাড়িতে হামলা করবে। সে কথা শুনে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাতে তার সঙ্গে দেখা করতে যায়। তখন তার কাছে পৌঁছতে আচমকা সুজন আমার পেটে ভোজালি ঢুকিয়ে দেয়। সুজনের সঙ্গে আরও এক জন ছিল। আমি চাই কঠোর শাস্তি হোক।’’
পরিবার সূত্রের খবর, আহতের বোন একটি বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। অভিযোগ, তাকে গোয়ালজানের এক যুবক উত্ত্যক্ত করত। এমনকি ফোন করেও জ্বালাতন করত। তার দাদারা নিষেধ করা সত্ত্বেও একইভাবে উত্ত্যক্ত করছিল বলে অভিযোগ। আর তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এক দাদাকে ভোজালির কোপে জখম হতে হল।
জখমের বাবা রামপ্রসাদ মিশ্র বলেন, ‘‘আমার মেয়ে পড়াশোনা করে। অভিযুক্ত যুবক আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিত। আমার ছেলে অভিযুক্ত যুবককে এ সব করতে নিষেধ করে ফোন করেছিল। তার বাবাকেও আমার সামনে থেকে ছেলে ফোন করে পুরো ঘটনা জানিয়েছিল। আর সে কারণে অভিযুক্ত আমার ছেলের পেটে ভোজালি চালিয়েছিল। আমি চাই পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করুক।’’