Murshidabad Incident

স্কুলে নাবালিকা ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার চেষ্টা, যৌনাঙ্গে হাত! অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষক, হুলস্থুল মুর্শিদাবাদে

শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের গোপালগঞ্জ-বাজিতপুর এলাকার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছ’জন শিক্ষককে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মুর্শিদাবাদ শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৪ ২৩:৪৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এ বার মুর্শিদাবাদের এক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আপত্তিকর স্পর্শ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার গোপালগঞ্জে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের গোপালগঞ্জ-বাজিতপুর এলাকার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছ’জন শিক্ষককে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরেই স্কুলের ছাত্রীদের আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করতেন। নাবালিকা ছাত্রীদের যৌনাঙ্গে হাত দিতেন বলেও অভিযোগ। ওই শিক্ষক ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করতেন বলেও অভিযোগ তুলে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। এমনকি, ছাত্রীদের মুখ বন্ধ করে রাখার হুমকি দিতেন অভিযুক্ত। বাড়ির লোককে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।

এক পড়ুয়ার মায়ের অভিযোগ, ‘‘স্কুলের এক শিক্ষক আমার দুই মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। ওরা যাতে বাড়িতে না বলে তার জন্য খুনের হুমকিও দিয়েছেন। শিক্ষকের ভয়ে এত দিন আমার মেয়েরা চুপ করে ছিল। কিন্তু গত বুধবার বাড়ি ফিরে তারা সব কথা বলে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছে অভিযোগ নিয়ে হাজির হন শ’খানেক পড়ুয়ার অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রধানশিক্ষক অভিভাবকদের কথায় পাত্তা দিতে চাননি। স্থানীয় জেলা পরিষদের এক সদস্য বিষয়টি মিটমাট করে নিতে বলায় ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকেরা। তার পরই বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আটকে দেওয়া হয় অভিযুক্ত শিক্ষক, প্রধানশিক্ষক-সহ ছয় জনকে।

ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয় সুতি থানার পুলিশ। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের কবল থেকে আটক ছয় শিক্ষককে উদ্ধার করা হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ না থাকলেও, শিক্ষককে আটক করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই থানাতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক পড়ুয়ার অভিভাবক। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। শনিবার বিকেলে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের থানায় ডাকা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অবশ্যই তদন্ত হবে।’’ সূত্রের খবর, দুই নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও সম্পূর্ণ করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement