—প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুললেন এক ব্যক্তি। সহকর্মী নুর সেলিমের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন আবু সঈদ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নুর ও আবু একই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। তাঁরা দীর্ঘ দিনের বন্ধু। বাড়ির এক অনুষ্ঠানের আগে নুরকে নিয়েই ব্যাঙ্কের লকারে গিয়েছিলেন আবু। সেখান থেকে সোনার গয়নাগুলি তাঁরা এক সঙ্গে আবুর বাড়িতে নিয়েও আসেন। অভিযোগ, তার পর থেকেই গয়না চুরির পরিকল্পনা শুরু নুরের। ঘটনার দিন কাজে বাধা দেওয়ায় আবুর মাকে খুন করেন তিনি। ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হন পরিবারের বাকিরাও। স্থানীয়েরা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা আবুর মা রাজিয়া সুলতানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বুধবার ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের রানিনগরের মালিপাড়ার এলাকায় ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। আবু জানান, প্রায় ২০ দিন আগে পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাঙ্কের লকার থেকে সোনা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেটা জানতেন তাঁর সহকর্মী নুর। এ দিন তাঁদের দু’জনের একসঙ্গে পাশের এক স্কুলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, আবু যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সুযোগে আবুর স্ত্রী রেখা বিবির স্কুলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন নুর। রেখা বলেন, “নুর এসে আমায় জানান, আমার স্বামী বাড়িতে আমায় ডেকে পাঠিয়েছেন। বাড়ি পৌঁছনো মাত্র নুর আমার থেকে সোনার গয়নাগুলি চেয়ে বসেন।” রেখা আরও জানান, নুরকে গয়না নিয়ে যেতে আবুই নাকি বলেছেন। কিন্তু নুরের হাতে গয়নাগুলি দিতে রাজি হননি আবুর পরিবার। শুরু হয় কথাকাটি। এর পর আবুর পরিবারের উপর চড়াও হন নুর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন আবুর মা রাজিয়া সুলতানাকে। বাধা দিতে গেলে আহত হন স্ত্রী রেখা, বাবা খবিরুদ্দিন আহম্মেদ ও বাড়ির এক পরিচারিকা। আবু জানান, বাড়িতেই রাখা ছিল সোনার গয়না। সবটাই জানতেন সহকর্মী। ওই সহকর্মী একাধিক অনলাইন গেমে আসক্ত ছিলেন বলেও জানান তিনি। নুরের প্রচুর দেনাও ছিল।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে তাদের বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়। অভিযুক্ত পলাতক। তাঁকে গ্রেফতার করতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুরো ঘটনাটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”