ডোমকল স্টেডিয়াম। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে ডোমকলের। ডোমকলের মুকুটে লাগতে চলেছে নতুন পালক। ক্রীড়ামোদী মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ প্রায় দু’কোটি আঠারো লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে স্টেডিয়াম তৈরি করার জন্য। এই অর্থ আধুনিক স্টেডিয়াম তৈরির জন্য কম হলেও এই প্রথম অন্তত আশার আলো দেখতে চলেছেন ডোমকলের আমজনতা।
দশকের পর দশক ধরে স্টেডিয়াম মাঠ বলে পরিচিত প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকার মাঠটি পড়ে আছে অবহেলায়। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই মাঠ অবস্থিত হলেও খেলাধুলোর অযোগ্য। খেলার আয়োজন করতে হিমসিম খেতে হয় স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাবের সংগঠকদের। ডোমকল আজাদ ক্লাবের সম্পাদক আজিমুদ্দিন খান বলেন, ‘‘কেবল ডোমকলের মুকুটে নতুন পালক নয়। লাখো মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে এই স্টেডিয়াম তৈরি হলে। অনেক সুপ্ত প্রতিভা উঠে আসবে এই মাঠে খেলাধুলো করে। আমরা আয়োজন করতে পারব বড় টুর্নামেন্টের।’’
বাম আমলে ডোমকলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী আনিসুর রহমান এই মাঠকে নিয়ে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডোমকলের মানুষকে। ডোমকল স্পোর্টস কমপ্লেক্স নাম দিয়ে তৈরি হয়েছিল একটি কমিটিও। বলা হয়েছিল সেখানে স্টেডিয়াম ছাড়াও সুইমিংপুল এবং অন্যান্য খেলাধুলার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। কিন্তু বদলে যায় বাম সরকার। আর সেই সঙ্গেই বদলায় ছবিটা। স্বপ্নের সেই মাঠের বড় অংশ অধিগ্রহণ করা হয় আদালত ও বিচারকদের আবাসন তৈরির জন্য। কিছুটা অংশ ডোমকল গার্লস কলেজের। ফলে বর্তমানে যে অংশটুকু দাঁড়িয়ে আছে তাতে কতটা আধুনিক স্টেডিয়াম তৈরি করা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু তার পরেও দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশায় বুক বাঁধছেন ডোমকলের মানুষ।
ডোমকলের সাধারণ মানুষ ক্রীড়াপ্রেমী, যে কোনও খেলাধুলো হলেই সেখানে দর্শকের ভিড় উপচে পড়ে। তা ছাড়া খেলাধুলো করার ইচ্ছে থাকলেও পরিকাঠামোর অভাবে অনেকেই তা করতে পারেন না। ডোমকল মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক ধীমান দাস বলছেন, ‘‘ডোমকলে ক্রীড়া সম্পদের অভাব নেই। প্রচুর সম্ভাবনাময় প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। একটা পরিকাঠামো এবং খেলাধুলোর উন্নত পরিবেশ গড়ে উঠলে ডোমকল থেকে অনেক খেলোয়াড় তৈরি হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’’ ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করব সেই স্টেডিয়ামকে যতটা সম্ভব আধুনিক করে তোলার।’’