রাস্তায় দেহ রেখে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
লরি চাপা পড়ে এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যুর জেরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ যদি উঠে থাকে, অবশ্যই তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।"
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম সজল মিস্ত্রি (৪৬)। তাঁর বাড়ি কোতোয়ালি থানার শিমুলিয়ায়। মঙ্গলবার বিকেলে সাইকেলে চেপে কৃষ্ণনগর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। নবদ্বীপ মোড়ে বহরমপুরগামী পাথর বোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহ আটকে পথ অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই মোড়ে পুলিশ নিয়মিত টাকা তোলে। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটছে। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদেরও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে বুঝিয়ে-সুজিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ। লরি ও তার চালককে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোড স্টশন এলাকায় সজল মিস্ত্রির একটি ছোট দোকান আছে। কৃষ্ণনগর থেকে ব্যবসার সামগ্রী কিনে তিনি দোকানে যাচ্ছিল। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি, কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার ওই লরি কাছ থেকে টাকা নিতে গেলে চালক গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি সজলকে ধাক্কা মারে। বিক্ষোভকারী নিশীথ শর্মার দাবি, “ওই সিভিক ভলান্টিয়ার প্রায় দিনই এখানে ট্রাফিক ডিউটি করার সময় লরি ও অন্য গাড়ি থেকে টাকা তোলে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেয়ে টাকা তোলার দিকেই তার বেশি নজর। আমরা ওই সিভির ভলান্টিয়ারের শাস্তি ও মৃতের পরিবারের ক্ষতিপুরণ চাই।”