প্রতীকী ছবি।
প্রকাশ্য রাস্তায় সকলের সামনে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার জামাকাপড় খুলে শ্লীলতাহানির পর তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারার অভিযোগ উঠেছে এক যুবক ও তার বাবার বিরুদ্ধে।
গত ১৭ অগস্ট বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্টের হরিপুরে। ঠিক এক সপ্তাহ পরে এই বুধবার সকালে তেহট্ট থানায় এই ঘটনায় রঞ্জিত বিশ্বাস ও তার ছেলে প্রসেন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলার পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্তেরা পলাতক।
ওই মহিলাকে মারের একটি সিসিটিভি ফুটেজ (সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা) সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হরিপুরের একটি রাস্তায় ওই মহিলা এলোমেলো দৌড়চ্ছেন। তাঁর পরনের শাড়ি, সায়া, ব্লাউজ খুলে নেওয়া হয়েছে। শুধু অন্তর্বাস রয়েছে। অভিযুক্ত দু’জন তাঁর পিছু ধাওয়া করেছে। তাদের মধ্যে এক জনের হাতে লম্বা বাঁশ। তা দিয়ে বেধড়ক মার মারা হচ্ছে মহিলাকে। ঘাড়ে-মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে রাস্তার মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছেন মহিলা। সেই অবস্থাতেও তাঁকে মারা হচ্ছে।
যে ঘটনা অনেককেই স্তম্ভিত করেছে তা হল, যে রাস্তায় ঘটনাটি ঘটছে সেখানে চারপাশে অনেক মানুষ, দোকান, গাড়ি চলছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন। কিন্তু কেউ হামলাকারীদের বাধা দিচ্ছেন না বা মহিলাকে বাঁচাতে আসছেন না। ওই মহিলার স্বামী বলেন, “দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” তেহট্ট থানার পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও খুন করার চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, প্রায় আট বছর আগে মহিলার বিয়ে হয়। কিছু বছর পর থেকে তিনি মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তিনি হরিপুরে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। গত বুধবার কোনও ভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। অভিযোগ, তাঁকে রাস্তায় একা পেয়ে রাগাতে থাকে দুই অভিযুক্ত। মহিলা প্রতিবাদ করলে তাঁর জামাকাপড় খুলে নেয় অভিযুক্তেরা। তার পর শুরু হয় মার।
পরে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানেই এখন চিকিৎসাধীন তিনি।