উত্তপ্ত বাংলাদেশ। —ফাইল চিত্র।
কোটা নীতি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। যার আঁচ পড়েছে বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিহত হয়েছেন অনেকে। এ দিকে বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন বহু পড়ুয়া। উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা। অনেককেই ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা জানা যাচ্ছে না।
হরিহরপাড়ার বাসিন্দা নাসিম হাসান বিশ্বাস ঢাকার ডেলটা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। একই কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া রানিনগরের ইমরুল কায়েস। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে তাঁরা আটকে রয়েছেন ঢাকা শহরে।
পরিবারের লোকেদের দাবি, ঘরে ফেরার জন্য তাঁরা বাস পাচ্ছে না। বাতিল হয়েছে উড়ান। ফলে তাদের মতো অনেকেই পড়ে রয়েছেন বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায়। অনেক ভিড় করছেন বাসস্ট্যান্ডে।
সূত্রের খবর, দেশের অনেক পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে ঘরে ফিরতে পারলেও মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার অনেক পড়ুয়া আটকে রয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে।
নাসিমের বাবা হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘ছেলে জানিয়েছে আন্দোলনের উত্তাপের আঁচ তাদের কলেজেও পড়েছে। ওই কলেজের নিরপত্তারক্ষী খুন হয়েছেন। ছেলে বাড়ি ফেরার জন্য বাস পায়নি। প্লেনও পায়নি। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। ফলে ঠিক মতো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি রবিবার দুপুরে উড়ান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নাসিমের সঙ্গে এক সঙ্গে রয়েছেন আর এক ডাক্তারি পড়ুয়া ইমরুল কায়েস।
অন্যদিকে নাসিম তাঁর বাবাকে জানিয়েছেন, অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। ঘরে না ফেরা পর্যন্ত অস্বস্তিতে বাংলাদেশে পাঠরত পড়ুয়া ও তাদের পরিবারের লোকেরা।
মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব। ছেলেমেয়েরা যাতে ঘরে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।”