—প্রতীকী ছবি।
পদ্মা নদীতে নেমে এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। সে নিখোঁজ ছিল। সোমবার তার দেহের সন্ধান না মিললেও মঙ্গলবার সকালে জেলার সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে অভিযানে নেমে ডুবুরির সাহায্যে উদ্ধার করা হয় দেহটি।
তবে বালকের পরিবারের অভিযোগ নিয়ে শোরগোল উঠেছে।
নাবালক পড়ুয়ার পরিবার থেকে আত্মীয়-স্বজনের অভিযোগ, পাচারকারীদের একাংশ নাবালকদের ব্যবহার করছে পাচারের ক্ষেত্রে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক পুলিশের তরফে।
যদিও বিএসএফের দাবি, কেবল একাংশের পাচারকারী নয়, অনেক সময় পরিবারের সদস্যরাই মোটা টাকার লোভে নাবালক সন্তানদের এই কাজে ব্যবহার করে। তাদের বারবার সতর্ক করেও লাভ হয় না। এমনকি মাস কয়েক আগে জলঙ্গির সীমান্তে ওই বিষয়ের সচেতনতা বাড়াতে অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা সভাও করে বিএসএফ।
কিন্তু পাচারের ক্ষেত্রে নাবালকদের ব্যবহার করা হয় কেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ সহ নানা রকমের ট্যাবলেট পাচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এই নাবালকদের। কারণ এমন সামগ্রী সহ সাবালকরা ধরা পড়লে এনডিপিএস-র মামলায় জড়িয়ে পড়ে। আর সেই মামলায় জড়িয়ে পড়লে বছর কয়েক জেলের ঘানি টানতে হয় তাদের। কিন্তু নাবালক এমন মাদকসহ ধরা পড়লেও এনডিপিএস মামলার আওতায় পড়ে না।
আর এর ফলেই পাচারকারীরা না নাবালক, স্কুল পড়ুয়াদের মোটা টাকার প্রলোভন দিয়ে ব্যবহার করে থাকে পাচারের ক্ষেত্রে। মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকার ওই নাবালকের পরিবারের দাবি, সীমান্তে এক দল পাচারকারী ছোটদের গোপনে ব্যবহার করছে পাচারের ক্ষেত্রে। আমরা বিষয়টি এর আগে জানতে পেরে তাদের বারণ করেছিলাম। কিন্তু ওই পাচারকারীরা কোনও কথায় কান দেয়নি। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা চাই পুলিশ প্রশাসন পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেক। পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
জেলার এক প্রান্তের সীমান্তের গ্রামবাসীদের দাবি, মোটা টাকার টোপ দিয়ে এক স্কুল পড়ুয়াকে পাঠানো হয়েছিল নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ পাচারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সোমবার সকালে পাচারের জন্য পদ্মায় নেমে নিখোঁজ হয়েছিল সে।
ওই নাবালক পড়ুয়ার পরিবার আত্মীয়-স্বজনরা এ দিন তার পরে কিছুক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করেন।