প্রতীকী ছবি।
মুখে, গলায় ক্ষতের চিহ্ন। মাঝবয়সি যুবকের দেহ উদ্ধার হল নদিয়ায়। সোমবার সকালে শান্তিপুর ব্লকের বাথনা কদমপুর গ্রামে দেহ উদ্ধার ঘিরে চা়ঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম অমিতকুমার রাভা (৩০)। তিনি কোচবিহারের বাসিন্দা। পেশায় তাঁত শ্রমিক। শান্তিপুরের তাঁতকলে কাজ করতেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি আম বাগানে রক্তমাখা অবস্থায় অমিতের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল মানিব্যাগ, মদের বোতল আর খাবারের উচ্ছিষ্ট। তার কিছুটা দূর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের পায়ের জুতো। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অমিতকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র থেকেই যুবকের নাম ও পিতৃপরিচয় জেনেছেন তদন্তকারীরা। অমিতের বাড়ি কোচবিহারের লাঙল গ্রামের হরিপুরে। এলাকাবাসীদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, অমিত বেলঘড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তালতলা এলাকার বাসিন্দা সুজন দাসের বাড়িতে তাঁত শ্রমিকের কাজ করতেন। তদন্তের শুরুতেই সুজন-সহ বেশ কয়েক জনেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সুজন বলেন, ‘‘দশ দিন আগে আমার কাছে এসেছে। এর আগে ফুলিয়ায় কালিপুর এলাকায় কাজ করত বলে শুনেছি। দেখে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে। বাকিটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।’’