—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চকোলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শান্তিপুরে। অভিযোগের তির স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। নাবালিকার বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম মনোরঞ্জন হালদার। ঘটনার পর শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির পরিবারের পূর্বপরিচিত ছিলেন মনোরঞ্জন। বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল। অভিযোগ, রবিবার চকোলেট দেবেন, এই বলে ওই শিশুটিকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান মনোরঞ্জন। সে সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে ওই শিশুকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে এসে শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করে। তার শারীরিক অবস্থা দেখে বিষয়টি বুঝে থানায় যায় পরিবার। রবিবার দুপুরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিশুর বাবা।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে শান্তিপুর থানার পুলিশ। মনোরঞ্জনকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার জানান, অভিযুক্তকে শিশু নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবারই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।
ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নির্যাতিতার বাড়িতে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। অভিযুক্তের চরম শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাত্র সাড়ে তিন বছরের শিশুও বিজেপি নেতার কাছে নিরাপদ নয়। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা হোক।’’ দলীয় নেতার কীর্তি জানার পর তাঁকে ‘নিষ্ক্রিয় সভাপতি’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন সাংগঠনিক রদবদল না হওয়ায় মনোরঞ্জন দলের পদে রয়েছেন। কিন্তু, উনি রাজনীতিতে সক্রিয় নন। তা ছাড়া আমরা তাঁকে দিয়ে কোনও রাজনৈতিক কাজ করাতাম না। আইন আইনের পথে তদন্ত করুক। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’