— প্রতীকী ছবি।
মায়ের বকুনিও আটকাতে পারেনি তাকে। পরিবারকে লুকিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ভৈরব নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়েছিল ন’বছরের বালিকা। নদীতে নেমে স্রোতের টানে গভীর জলে চলে যাওয়ার পর আর পারে ফিরতে পারেনি সে। মঙ্গলবার দুপুরে নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তল্লাশিতে নামানো হয় ডুবুরি। রাতভর তল্লাশি শেষে বুধবার সকালে উদ্ধার হয় তার দেহ। হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকার সড়কপুরের বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া আলফানুর আনসারি মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরব নদীতে স্নান করতে যাওয়ার জন্য বাড়িতে বায়না ধরে। মায়ের বকুনিতে প্রাথমিক ভাবে সাঁতার কাটতে যাবে না বলে জানালেও পরবর্তীতে বাড়ির লোকেদের লুকিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ভৈরব নদীতে স্নানে নামে আলফানুর। জলে খেলা করতে করতে গভীর জলে চলে গেলে স্রোতের টানে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই বালিকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। জলে নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের স্পিডবোট এবং ডুবুরি। রাতভর চলে তল্লাশি। ঘটনাস্থলে পৌঁছন হরিহরপাড়া ব্লকের বিডিও রাজা ভৌমিকও। বুধবার সকালে নিখোঁজ হওয়ার জায়গা থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে ভেসে ওঠে কিশোরীর নিথর দেহ। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কর্তব্যরত চিকিৎসক নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আলফানুরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। মৃত নাবালিকার আত্মীয় রাকেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘বাড়ির কাউকে না জানিয়ে সাঁতার কাটতে চলে গিয়েছিল। কিন্তু স্রোতের টানে হারিয়ে যায়। আজ সকালে দেহ উদ্ধার হল।’’ হরিহরপাড়ার বিডিও রাজা বলেন, ‘‘স্নানের ঘাটগুলিতে সব সময় সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হয়। অভিভাবকদের সচেতনতা ছাড়া এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়। একটি ফুটফুটে বাচ্চার এমন মর্মান্তিক মৃত্যু সত্যি বেদনাদায়ক।’’