—প্রতীকী চিত্র।
মাঠে কাজ করছিলেন ছেলে। তাঁকে খাবার দিয়ে ফিরছিলেন ভরদুপুরে। হঠাৎ একটি শেয়াল ছুটে এসে কামড়ে বসায় প্রৌঢ়াকে। প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দিন দুয়েক পর অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। জলাতঙ্কের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি তাঁকে করানো হয়েছিল গ্রামীণ হাসপাতালে। কিছুটা শারীরিক উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় মহিলাকে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরিবারের দাবি, জলাতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক জনকে চলতি সপ্তাহে একই জায়গায় শেয়াল আক্রমণ করেছে। প্রৌঢ়ার মৃত্যুর পর গ্রাম জুড়ে শিয়াল-আতঙ্ক বাড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম কোহিনুর বিবি। মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার শিবনগর এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা দিন কয়েক আগে মাঠে কাজ করতে যাওয়া ছেলেকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তিনি শেয়ালের আক্রমণের মুখে পড়েন। প্রাথমিক ভাবে কোনও সমস্যা না হওয়ায় বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দিন কয়েক বাদে জ্বর এবং বমি শুরু হয় তাঁর। কোহিনুরকে ভর্তি করানো হয় রানীনগর গ্রামীণ হাসপাতালে।
অবস্থার উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু দিন পাঁচেক আগে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। জলাতঙ্কের উপসর্গ দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করে পরিবার। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যে শেয়ালের কামড়ে বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
মৃতের ছেলে রফিকুল শেখের কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগে মাকে শিয়ালে কামড়ে ছিল। প্রথমে যখন হাসপাতালে ভর্তি করি, ডাক্তারবাবু জানান, কোনও সমস্যা নেই। বাড়ি নিয়ে আসার পর অসুস্থ হলে আবার নিয়ে যাই হাসপাতালে। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’’