—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজোর মুখে আবার সক্রিয় ‘মণিপুরী গ্যাং’। উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মাদক পাচারের অভিযোগে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার হলেন তিন মহিলা এক এক পুরুষ। মিলল প্রায় ১০ লক্ষ টাকার হেরোইন। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মণিপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রঘুনাথগঞ্জ সীমান্ত পেরিয়ে ডোমকলে এক ব্যক্তির কাছে হেরোইন পৌঁছে দেওয়ার জন্য মণিপুরের দুই মহিলা নাগরিক এবং নাগাল্যান্ডের এক মহিলা মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে আরও এক মহিলা ছিলেন বলে খবর। পুলিশের বিশেষ দল (এসটিএফ)-এর কাছে আগেই খবর ছিল। তারা রবিবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ থানার উমরপুর মোড়ে জাতীয় সড়কের কাছে আচমকা অভিযান চালায়। সঙ্গে ছিল রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। তখনই মোট চার জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। অভিযোগ, এর মধ্যে তিন মহিলা পাচারকারী ছিলেন। ধৃতদের মধ্যে আছেন লালগোলার বাসিন্দা মহম্মদ মেফতাহুল ইসলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে এক কেজি ১৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশি জেরার মুখে ধৃতেরা জানিয়েছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া হেরোইন নাগাল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল লালগোলাবাসী মহম্মদ মেফতাহুলকে হস্তান্তরের জন্য। সেখান থেকে ওই মাদক পৌঁছনোর কথা ছিল মুর্শিদাবাদের ডোমকলে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর এখনও অশান্ত। তার মাঝে আবার পাচার চক্র সক্রিয় হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই হেরোইন পাচারচক্রের সঙ্গে মণিপুর এবং লালগোলার যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এমনিতেই সীমান্ত পার্শ্ববর্তী লালগোলা দিয়ে পাচারের চেষ্টা চলে। তাই হেরোইন পাচারের চেষ্টার এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এস টি এফ বিষয়টি তদন্ত করছে।’’