মদ্যপানে ঝামেলা, পুরোহিত খুনে ধৃত তিন যুবক

এ দিন কল্যাণীতে কর্মিসভা করতে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘‘শান্তিপুরে এক পুরোহিতকে তৃণমূল খুন করেছে। তিনি ছিলেন বিজেপির সক্রিয় কর্মী।’’ রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ অবশ্য বলেন, “এই খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ পাওয়া যায়নি।’’ আজ, শনিবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হবে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৫৬
Share:

আজ, শনিবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হবে। প্রতীকী চিত্র।

বাগআঁচড়ায় বাগ্‌দেবী মন্দিরের পুরোহিত সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ভোম্বলকে খুনের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ পুলিশ খুঁজে পায়নি। বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ তিন জনকে আটক করেছিল। শুক্রবার মৃতের পরিবারের তরফে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। টানা জেরার পরে সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম স্বপন প্রামাণিক, তরুণ মণ্ডল ও সুব্রত ধাড়া। তারা সকলেই শান্তিপুরের বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীনাথপুরের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা খুনের কথা কবুল করেছে। এ দিন কল্যাণীতে কর্মিসভা করতে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ‘‘শান্তিপুরে এক পুরোহিতকে তৃণমূল খুন করেছে। তিনি ছিলেন বিজেপির সক্রিয় কর্মী।’’ রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ অবশ্য বলেন, “এই খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ পাওয়া যায়নি।’’ আজ, শনিবার ধৃতদের রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হবে।

Advertisement

নবমীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের বাগদেবীতলার বাসিন্দা, বছর বিয়াল্লিশের সুপ্রিয়। বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরের পিছনে জলাশয়ে তাঁর দেহ মেলে। মৃতের পরিবারের দাবি, সুপ্রিয়র সন্ধানে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীনাথপুরে গিয়ে তাঁরা শোনেন, সেখানে মেলার মাঠে তিন জনের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সুপ্রিয়কে তাঁরই স্কুটারে চাপিয়ে তারা বাড়ির সামনের রাস্তায় নামিয়ে স্কুটার নিয়ে ফিরে গিয়েছিল বলে দাবি করে।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, নবমীর রাতে লক্ষ্মীনাথপুরের পুজো মণ্ডপে বসে মদ্যপান করছিলেন সুপ্রিয়। তা নিয়েই তিন যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। তারা জোর করে সুপ্রিয়কে তাঁর স্কুটারেই তুলে বাড়ির দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু পথে তাঁকে তারা ঠেলে জলে ফেলে দিয়েছে বলে ধৃতেরা কবুল করেছে। লক্ষ্মীনাথপুর থেকে বাগ্‌দেবীতলা যাওয়ার রাস্তার দুই ধারে অনেকটা এলাকা নিয়ে বিরাট জলাশয়েই পরে সুপ্রিয়র দেহ ভেসে ওঠে। ময়নাতদন্তে প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি, জলে ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
অভিযুক্তেরা সুপ্রিয়কে যদি বাড়ির দিকেই নিয়ে যাবে, তা হলে মাঝপথে জলে ঠেলে ফেলে দিতে যাবে কেন? পুলিশের কাছে এই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। পরিবারের দাবি, সুপ্রিয়র কাছে ৫০ হাজারেরও বেশি নগদ টাকা ছিল। শুক্রবার রাত পর্যন্ত সেই টাকার হদিস মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement