BGT 2024-25

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শতরান, জোড়া মন্ত্রে সফল যশস্বী, সোমবারই পার্‌থ টেস্ট জয়ের লক্ষ্যে নামবে ভারত

প্রথম ইনিংসে আট বলে শূন্য রানে ফিরলেও যশস্বী জয়সওয়াল সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন রবিবার। দিনের খেলা শেষের পর সাফল্যের পিছনে দু’টি মন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। কী সেই দু’টি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৪২
Share:

শতরানের পর যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: পিটিআই।

প্রথম ইনিংসে আট বলে শূন্য রানে ফিরে গিয়েছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, দেশে সাফল্য পেলেও অস্ট্রেলিয়ার পিচ কতটা কঠিন তা এ বার বুঝবেন তিনি। সেই যশস্বী জয়সওয়াল সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন রবিবার। অস্ট্রেলিয়ায় হাঁকিয়েছেন বড় শতরান, যা সকলের সমীহ আদায় করে নিয়েছে। দিনের খেলা শেষের পর সাফল্যের পিছনে দু’টি মন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তা হল ‘ভয়ডরহীন মানসিকতা’ এবং ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’।

Advertisement

প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েও বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়াকে ১০৪ রানে শেষ করে দেয় ভারত। রবিবার তৃতীয় দিন যশস্বী জয়সওয়াল এবং বিরাট কোহলির শতরানে ভর করে ৪৮৭/৬ স্কোরে ডিক্লেয়ার করেছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার তিনটি উইকেট ফেলেও দিয়েছে। ম্যাচের বাকি দু’দিন জিততে অস্ট্রেলিয়াকে ৫২২ রান তুলতে হবে। হাতে মাত্র সাতটি উইকেট। ফলে জয়ের ব্যাপারে ভারত যে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে তা বলাই যায়।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে যশস্বী বলেছেন, “আমার কাছে খুব বিশেষ মুহূর্ত। অস্ট্রেলিয়ায় সফর করতে বরাবরই চেয়েছিলাম। এই ইনিংস আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বরাবর ভয়ডরহীন মানসিকতা নিয়ে খেলতে চেয়েছি। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার ভাল বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে পেরে বেশ ভাল লেগেছে। বিশ্বের সেরা দলের বিরুদ্ধে শতরান করেছি।”

Advertisement

দ্বিতীয় ইনিংসে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন? যশস্বীর জবাব, “প্রথম ইনিংসের তুলনায় সিমিং বেশি হচ্ছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা আলোচনা করেছিলাম নতুন বলের বিরুদ্ধে কী ভাবে ভাল খেলা যায়। তাই প্রত্যেকেই দ্বিতীয় ইনিংসে নতুন বলে ভাল খেলেছে।”

শতরান বা আলাদা কোনও লক্ষ্য নিয়ে নামেননি যশস্বী। বললেন, “বড় শতরানের কথা মাথাতেই ছিল না। ছোট ছোট লক্ষ্য, প্রতি সেশনে ভাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলাম। তার পরে রাহুল ভাইয়ের সঙ্গে ভাল জুটি হল। আমাকে ভাল পরামর্শ দিচ্ছিল। খুব কাজে লেগেছে সেটা।”

কী কথা হয়েছে রাহুলের সঙ্গে? যশস্বীর জবাব, “আমরা বেশ কিছু দিন হল একসঙ্গে খেলছি। একে অপরকে ভাল চিনি। সাজঘরেও কথা হয়। ক্রিজ়ে নার্ভাস হয়ে পড়ার সময় রাহুল ভাই বার বার বলছিল শান্ত থাকতে। সেটা কাজে লেগেছে। কারণ এই ধরনের পিচে কিছু ভাল বল তো হবেই।”

বিরাট কোহলিরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যশস্বী। বলেছেন, “২০১৮ সালে টিভিতে বিরাট পাজিকে রান করতে দেখেছি। এ বার সামনাসামনি দেখলাম। এত দিন ধরে রান করে যাচ্ছে। অসাধারণ ব্যাটার। শতরান করায় খুব খুশি হয়েছি। সবাই ওর শতরানের অপেক্ষা করছিলাম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement