Ranaghat Murder

জোড়া খুন রানাঘাটে! সুদের কারবারি ও গাড়িচালককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ব্যবসায়িক শত্রুতার জের?

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুদের কারবারি সুমন চক্রবর্তী ও তাঁর গাড়িচালক রূপক দাসের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপের চিহ্ন ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ২২:৩৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সুদের কারবারি ও তাঁর গাড়িচালককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল নদিয়ার রানাঘাটে। দু’জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের নেপথ্যে ব্যবসায়িক শত্রুতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুদের কারবারি সুমন চক্রবর্তী ও তাঁর গাড়িচালক রূপক দাসের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপের চিহ্ন ছিল। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে জোর আধাত করা হয়েছে। রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। পুলিশের অনুমান, যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, খুনটা হয়তো সেখানে হয়নি। অন্য কোথাও খুন করা হয়েছে। তার পরে দেহ ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ চালক রূপককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন সুমন। তার পর দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও তাঁরা বাড়ি না ফেরায় মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের ফোনে পাওয়া যায়নি। তার পর সন্ধ্যায় দেহ উদ্ধারের খবর পায় তারা। রূপকের পরিবারের দাবি, কেউ বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। সুমনের দাদা রূপক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা ছিল কি না, জানা নেই। তবে বাড়ি থেকে কেউ ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে বলে ভাইয়ের স্ত্রী দাবি করছে। শোকে ও খানিকটা বেসামাল। কিছুটা স্বাভাবিক হলে তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে খুনিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement