হাসপাতাল চত্বরে চলছে ‘পানাহার’। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বকর্মা পুজো শেষে হাসপাতাল চত্বরে মদের আসর বসানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা। অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল চত্বরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘরে মদের বোতল পাশে নিয়ে খাওয়াদাওয়া করছেন কয়েক জন। অভিযোগ ওঠে, যে ঘরটিতে ‘মদের আসর’ বসেছে, সেটি হাসপাতাল চত্বরে। ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরেই পূর্ত দফতরের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, হাসপাতাল চত্বরে পূর্ত বিভাগের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের পাশেই যে নার্সিং স্কুল রয়েছে, তার একটি ঘরে মদ্যপান করছিলেন কর্মীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন হাসপাতাল চত্বরে একটি ঘরে বহিরাগতদের নিয়ে মদ্যপান করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘরে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার রাজশ্রী বসুমল্লিকও উপস্থিত ছিলেন। যদিও এ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর পূর্ত দফতরে দুই কর্মীকে পাকড়াও করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। দফতরের দাবি, ধৃতেরা ঠিকাকর্মী। অভিযুক্তদের নাম রাজা মিত্র এবং অমিয় বিশ্বাস। দু’জনেই কৃষ্ণনগরের হাটখোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ এক প্রকার মেনেই নিয়েছেন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত সরকার। তিনি বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতাল এলাকার মধ্যেই পূর্ত দফতরের বৈদ্যুতিক বিভাগের একটি ছোট্ট দফতর রয়েছে। সেখানেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কেউ হাসপাতালের কর্মী নন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিত কুমার মাকোয়ান বলেন, ‘‘দু’জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে।’’ জানা যাচ্ছে, বুধবারই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানো হচ্ছে।