মৃত কুকুর ছানা। নিজস্ব চিত্র
কীটনাশক খাইয়ে কুকুর খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল চাপড়া থানার পুলিশ। ধৃতেরা হল চাপড়ার বাগমারা এলাকার বাসিন্দা হজরত বিশ্বাস ও তার ছেলে মিয়াজান বিশ্বাস। মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, তারা এক প্রতিবেশীর বারোটি কুকুরকে কীটনাশক খাইয়ে দেয়, যার মধ্যে ১০টি কয়েক দিনের কুকুরছানা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সোমবার রাতেই ওই দুই জনের বিরুদ্ধে চাপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার মৃত কুকুরগুলিকে কৃষ্ণনগরের পশু হাসপাতালে নিয়ে এসে ময়নাতদন্ত করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগে একটি পথকুকুর ধৃত মিয়াজান বিশ্বাসের মেয়েকে কামড়ায়। এই ঘটনায় প্রচন্ড খেপে যায় বিশ্বাস পরিবার। তারা দুই-তিন ধরে এলাকায় কুকুর দেখলেই লাঠি নিয়ে তাড়া করতে থাকে। কিন্তু সেই কুকুরটির নাগাল পায়নি। ঘটনায় তাদের রাগ এসে পড়ে প্রতিবেশী সুব্রত বিশ্বাসের পোষা দু’টি কুকুর ও দশ কুকুর শাবকের উপরে।
জানা গিয়েছে, কুকুরগুলি সুব্রতবাবুর পোষা হলেও এলাকায় ছাড়া থাকত। অভিযোগ, মিয়াজান সুব্রতবাবুর কুকুরগুলিকে মারতে এলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। তখনই মিয়াজানেরা তাঁর কুকুরদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার পরেই সোমবার সকাল থেকে সুব্রতবাবুর বাড়ির আশেপাশে সঙ্কটজনক অবস্থায় কুকুরগুলিকে দেখতে পাওয়া যায় বলে দাবি। তাদের ওই ভাবে দেখে সুব্রতবাবুর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই মুমূর্ষু কুকুরগুলির শুশ্রূষা করতে থাকেন। কিন্তু একটি কুকুর বা শাবককেও বাঁচানো যায়নি। সকাল থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত চোখের সামনে সব কুকুরের মৃত্যু হয়। এলাকায় ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সোমবার রাতেই সুব্রতবাবুর স্ত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস প্রতিবেশী বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে চাপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সুব্রতবাবু বলেন, “যে কুকুরটা মেয়েটাকে কামড়েছিল, সে কিন্তু বেঁচে আছে। মাঝখান থেকে আমার দুটো কুকুর আর ১০টা দুধের বাচ্চাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলল। আমরা ওদের কঠিন শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন প্রাণিহত্যার সাহস না পায়।”