arres

arrest: মন্ত্রীর হেনস্থায় জামিন অযোগ্য ধারায় ধৃত ১৬

মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য হত্যার চেষ্টার ধারাও দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বড়ঞা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা ও বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে হেনস্থা করা ও মন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য হত্যার চেষ্টার ধারাও দিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের চার দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন কান্দির এসিজেএম ভাস্কর মজুমদার।

Advertisement

পথ দুর্ঘটনায় বড়ঞার বিপ্রশিখর গ্রাম পঞ্চায়েতের সৈয়দপাড়া গ্রামের বাসিন্দা একই পরিবারের ছয় জনের মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার ওই পরিবারের লোকজনদের সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রতবাবু ও সঙ্গে ছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণবাবু। ওই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় এক দল মানুষ বিক্ষোভ দেখায়। এমনকি বিক্ষোভ ছাড়িয়ে মন্ত্রী ও বিধায়ক কে হেনস্থা করা, মন্ত্রী সুব্রত সাহার গাড়িতে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা চেপে বসতেই মন্ত্রীর গাড়ি ধরে বিক্ষোভ দেখায় এবং মন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। ওই ঘটনার পর রাতভর তল্লাশি করে বিপ্রশিখর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সৈয়দ রাজু মির্জা-সহ ১৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

ওই ঘটনায় বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ ও ব্লক যুব সভাপতি মাহে আলমের নামে অভিযোগ থাকলেও পুলিশ এখনও তাঁদের গ্রেফতার করেনি। মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, “১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

ওই ঘটনার পর পুলিশ ধৃত ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা করার প্রচেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার বারো ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গোটা বিষয়টি ‘কড়া’ হাতে দমন করছে।

কিন্তু ওই ঘটনার পর ব্লক ও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ বলেন, “এত কাল ধরে রাজনীতি করছি, কিন্তু কোন দিন দলের নেতারা হেনস্থা হয়নি। এই প্রথম সুব্রতদা আমাদের ব্লকে এসে হেনস্থা হয়েছেন। এটা খুবই খারাপ ঘটনা। জীবনকৃষ্ণ বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই ব্লক তৃণমূলের অন্দরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে।”

যদিও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, “ব্লক সভাপতি শুধু লোক জমায়েত করেন, কিন্তু দলের সংগঠন করতে পারেন না।”

দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় বলেন, “আইন আইনের পথে চলছে। আমি দলীয় ভাবে তিনজন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করছি। বড়ঞার বিধায়ক ও বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাছে লিখিত ভাবে রিপোর্ট নিয়ে প্রদেশে পাঠিয়েছি। এবং রবিবার দু’পক্ষ কে নিয়ে বৈঠক করে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement