নিগ্রহের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান ডাক্তার, নার্সরা। —ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের সিএমওএইচ বা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিকের দফতরে গিয়ে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ক্ষতিপূরণ দাবি করে বিধায়কের উপস্থিতিতে সিএমওএইচ সন্দীপ সান্যালকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে এক রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাসের উপস্থিতিতে এই নিগ্রহের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন মুর্শিদাবাদের সিএমওএইচ ডাঃ সন্দীপ সান্যাল। এই ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীকের দফতরে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশবাহিনী। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে উদ্ধার করে পুলিশ। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিসিটিভি ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। এর পর ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য দিকে, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে হেনস্থা এবং শারীরিক নিগ্রহের প্রতিবাদে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে প্রতিবাদ সভা করে বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা।
উল্লেখ্য, বহরমপুর থানার বুটারডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা গোলবাহার শেখ পেটে ব্যথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তার অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশন হয়। কিছু দিন পর তাঁর পেটে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে আবার তাঁর অপারেশন হয়। গোলবাহার শেখের অভিযোগ, ‘‘বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রায় ৩ লাখ টাকার বিল হয়। যা দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন সরকারি হাসপাতালের ওই শল্যচিকিৎসকের। তাঁর গাফিলতিতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।’’ তাঁর দাবি, চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে বিল মেটাতে অস্বীকার করেন ওই চিকিৎসক।
এর পরেই গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিহরপাড়া বিধায়ক নিয়মত শেখ ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস ওরফে রাজু বহরমপুর সিএমওএইচ দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। আক্রান্ত হন সন্দীপ সান্যাল।