রঘুনাথগঞ্জের যোগদান পর্ব নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর বলেন, “এই যোগদান আগামিদিনেও চলবে।’’ —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবার ভাঙন তৃণমূলে। মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জের ১০০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিল কংগ্রেসে। শুক্রবার রঘুনাথগঞ্জের ২ নম্বর ব্লকের কাশিয়াডাঙা অঞ্চলে এই যোগদান কর্মসূচিতে রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আবুল কাশেম বিশ্বাসের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেয় ওই পরিবারগুলি। যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলায় কর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠন মজবুত করতে আটঘাট বেঁধেছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদের উপর যে আলাদা করে নজর দিয়েছে তৃণমূল তা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে তিনি মুর্শিদাবাদে এসে ধমক দিয়েছেন জেলা নেতৃত্বকে। আলাদা করে সাগরদিঘির কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বলেছেন বিষয়টি তাঁর মাথায় আছে। বস্তুত, মুর্শিদাবাদে বিশেষত সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে শাসক শিবিরে চিন্তা বেড়েছে। হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। পদেরও অদলবদল ঘটেছে। কিন্তু তার পরেও ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না।
রঘুনাথগঞ্জে কংগ্রেসে যোগদান শিবির। —নিজস্ব চিত্র।
এর আগেও তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন ব্লকের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রঘুনাথগঞ্জের যোগদান পর্ব নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর বলেন, “এই যোগদান চলবে। আগামিদিনে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না।’’
যদিও জঙ্গিপুরের তৃণমূল সংসদ খলিলুর রহমানের দাবি, একই লোকজনকে দিয়ে বার বার কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচি চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘একই লোককে ওরা বারবার যোগদান করিয়ে প্রচারের আলোয় থাকতে চায়। তবে এ সব নাটক করে কিছু হবে না।’’