ফাইল চিত্র।
সাধারণ মানুষ অভিযোগ তো করে চলেছেন। সেগুলো শোনা হচ্ছে কি? আন্তরিক ভাবে তাঁদের সমস্যার সুরাহার চেষ্টা চলছে?
অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া নিয়মিত নজরে রাখতে পুরো পদ্ধতিকে অনলাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক কর্তাদের ধারণা, বিভিন্ন অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে অফিসারেরা কতটা আন্তরিক, তা-ও বুঝে নিতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
রাজ্যবাসীর অভাব-অভিযোগ প্রতিকারে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরও (সিএমও) মানুষের মন বুঝতে সক্রিয় হয়েছে। সিএমও-র ‘গ্রিভান্স অ্যান্ড রিড্রেসাল সেল’-কে চাঙ্গা করতে টোল ফ্রি ফোন নম্বরের সঙ্গে ই-মেল আইডি রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষের অভিযোগ জানা এবং প্রশাসনিক ভাবে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক জন আইএএস অফিসারকে। এ বার গোটা প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই সেলের কর্মতৎপরতায় নজর রাখতে আলাদা অনলাইন পোর্টালে প্রতিটি দফতরকে যুক্ত করা হয়েছে। কবে কী ধরনের কত অভিযোগ সিএমও-তে জমা পড়ছে, তার তথ্য থাকবে পোর্টালে। কোন অভিযোগের নিষ্পত্তির ভার কোন দফতরকে দেওয়া হচ্ছে, তা জানা যাবে কেন্দ্রীয় ভাবে। দফতরগুলি কোন অফিসারকে অভিযোগ দেখভালের দায়িত্ব দিচ্ছে এবং কত দিনে, কী ভাবে তার সুরাহা হচ্ছে, তা-ও জানতে পারবেন সিএমও-র কর্তারা।
সিএমও-য় অভিযোগ জমা পড়লে তা সংশ্লিষ্ট দফতরে যায়। জেলা স্তরে জেলাশাসক তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেন মহকুমাশাসককে। ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে রিপোর্ট দিতে হয়। ডিএম তা পাঠান রাজ্য প্রশাসনের কাছে।
অনেকের ধারণা, এখন অভিযোগের নিষ্পত্তিতে ভুল তথ্য নথিবদ্ধ হওয়া ঠেকাতে ই-গভর্ন্যান্সের ফাইল ট্র্যাকিং-এর আদলে এই অন্তর্বর্তী পদ্ধতি পরিচালিত হবে। এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “অভিযোগ নিষ্পত্তির তথ্য যখন-তখন চাইতে পারে সিএমও। পোর্টালে লগ-ইন করে তার প্রকৃত অবস্থা জানাতে হবে। অভিযোগের নিষ্পত্তি সত্যিই হয়েছে কি না, বোঝা যাবে সহজেই।”