মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বছর ঘুরলেই ভোট হবে তা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য প্রশাসন। গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনে থানা স্তরে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, তা জানতে চাইল নবান্ন।
সূত্রের খবর, ২০১৪ এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বুথ, স্ট্রং-রুম, ডিসি-আরসি (ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার-রিসিভিং সেন্টার)-তে কত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য পুলিশের বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল তার হিসাব জানতে চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের চিঠি পাঠিয়েছেন নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার। প্রতি থানা থেকে তথ্য জোগাড় করে রিপোর্ট আকারে শনিবারের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রিপোর্ট জমা পড়লেই তা নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হবে। যা খতিয়ে দেখে আগামী নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ জারি করবে কমিশন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দু’টি লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে কোন থানা এলাকায় কী কী গোলমাল বা মামলা রুজু হয়েছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। যে মামলা রুজু হয়েছিল, তার বর্তমান অবস্থাও জানাতে বলা হয়েছে। মডেল কোড অব কনডাক্ট অমান্য করার অভিযোগে করা এবং ‘ফেক নিউজ়’ সংক্রান্ত মামলাগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের একটি জেলার আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে শুরু করে গত অক্টোবর পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা বা কত জনের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল সেটিও জানাতে হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এর সঙ্গেই গত বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে কত নগদ টাকা, মদ কিংবা মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তার হিসাবও নবান্নে পাঠাতে বলা হয়েছে। এমনকি রাজ্য পুলিশের সব পর্যায়ে কত পুলিশকর্মী ভোটে ডিউটি করেছেন তাও জানাতে হচ্ছে আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই।