প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক প্রবন্ধ সঙ্কলন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিম। মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে। —নিজস্ব চিত্র।
রাজনৈতিক কাজকর্মের পাশাপাশি তিনি সমান সক্রিয় ছিলেন লেখালেখিতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের পরে তাঁর রাজনৈতিক নানা লেখার সঙ্কলন প্রকাশিত হল পুজোয়। ওই সঙ্কলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজনৈতিক প্রবন্ধগুচ্ছ’। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরে মঙ্গলবার সঙ্কলনটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু ও দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বই প্রকাশ করে বিমানবাবুর মন্তব্য, ‘‘এখন রাজনীতির নামে কী হচ্ছে আর কী হচ্ছে না, বোঝা মুশকিল! রাজনীতি তো দুর্নীতি নয়। আসলে সুনীতি। রাষ্ট্র পরিচালনা, সমাজ চালানোর ক্ষেত্রে যে ধরনের নীতির গুরুত্ব থাকা উচিত, সেটা নিয়েই বুদ্ধ ভেবে গিয়েছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শুধু সাহিত্য নিয়ে থাকলেও বুদ্ধদেব বড় সাহিত্যিক হতেন!’’
চিন, কিউবা, ভিয়েতাম সফরের ডায়েরির পাশাপাশি মাওবাদী বা পাহাড়ের আন্দোলনের মতো রাজ্যের নানা ঘটনার উপরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্লেযণ রয়েছে এই প্রবন্ধ সঙ্কলনে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিমের কথায়, ‘‘বুদ্ধি-চর্চার পাশাপাশি বুদ্ধ-চর্চা বাড়াতে হবে। সহজ সরল জীবন, আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা ছিল বুদ্ধদেবের, তার পাশাপাশি ছিল তাঁর সাহিত্য-চর্চা। লেগে পড়ো, ভেগে পড়ো রাজনীতির যুগে পড়াশোনার চর্চা বাড়াতে হবে।’’ বইটির প্রকাশনা সংস্থা এনবিএ-র অধিকর্তা অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পরবর্তী পর্বে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সাহিত্য-নির্ভর লেখার সঙ্কলন করা হবে।