নবান্নের তরফে চিঠি রাজ্যপালকে।— ফাইল চিত্র।
রেশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্যকে পাঠানো রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের চিঠির কড়া জবাব দিল নবান্ন। শনিবার রাজভবনে পাঠানো ওই চিঠিতে রেশন নিয়ে রাজ্যপালের তোলা অনিয়মের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের পাঠানো ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৯ কোটিরও বেশি মানুষ (রাজ্যের ৯০ শতাংশ জনগণ)-কে গণবন্টন ব্যাবস্থার মাধ্যমে এই সঙ্কটজনক সময়ে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মাস, প্রতি মাসে মাথাপিছু ৫ কিলো করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
সেই সঙ্গে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য এখনও কেন্দ্রের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য পায়নি। নাবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে খাদ্যশস্য পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। নির্দিষ্ট বিধি মেনেই, সামগ্রিক নজরদারির মধ্যে দিয়ে সেই বন্টন ব্যবস্থা চলছে।
আরও পড়ুন: কলকাতার বহু পাড়া পুরো সিল করল পুলিশ, দেখে নিন কোথায় কোথায়
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের দেওয়া চিঠিতে রাজভবনকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে যে, গণবন্টন ব্যবস্থায় কোনও ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। বিধিভঙ্গকারী এবং দুর্নীতিপরায়ণ রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই রেশন সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ৩২টি মামলা রুজু করেছে রাজ্য পুলিশ।
এর আগে রাজ্যপাল রাজ্যে লকডাউনের সময় রেশন নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে নবান্নকে চিঠি দেন। শনিবারের এক টুইট বার্তাতেও রেশন সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেই টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘ গণবন্টনের অনিয়মের কারণে গরিব মানুষ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় খাদ্য শস্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছ থেকে সবিস্তার তথ্য জানতে চেয়েছি।” অন্য একটি টুইটে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘ রাজ্যের গণবন্টণ দুর্নীতি ক্রমশ আকারে নিচ্ছে। ছাপিয়ে যাচ্ছে অন্য সব দুর্নীতিকে। একমাত্র উপযুক্ত তদন্তই খুঁজে বার করতে পারে কারা গরিব মানুযের জন্য বরাদ্দ খাবার আত্মসাৎ করছে।”
আরও পড়ুন: রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্ত ১৭৮, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২, কিট পেলে র্যাপিড টেস্ট: মুখ্যসচিব
শনিবার এই টুইটই করেন রাজ্যপাল।
জগদীপ ধনখড় অন্য একটি টুইটে লেখেন, ‘‘ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। প্রচার মাধ্যমে নয়।” নবান্নের তরফে পাঠানো চিঠিতে শেষ টুইটটিরও জবাব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, জবাবি চিঠিতে জানানো হয়েছে, ‘‘গোটা পৃথিবীতেই সংবাদ মাধ্যম এবং প্রচার মাধ্যমে নিয়মিত তথ্যের প্রকাশকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। জাতীয় স্তরেও তা স্বীকৃত। কেন্দ্রীয় সরকারও প্রতিদিন এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছে।”