নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
বড় রদবদল হল জেলা প্রশাসনে। সোমবার নবান্ন যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ডব্লিউবিসিএস (এগজ়িকিউটিভ) স্তরে অফিসারদের পাশাপাশি বদলি হয়েছেন জেলাস্তরে বিভিন্ন পদে কর্মরত আইএএস অফিসারেরাও। সব মিলিয়ে ১৫৮ জনের বদলি এ দিন কার্যকর করেছে নবান্ন। আরও তিন জন আইএএস অফিসারের বদলি হয়নি, তবে তাঁদের দায়িত্বে বদল ঘটেছে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী লোকসভা ভোটের আগে এই রদবদল করতেই হত। কারণ, সংশ্লিষ্টদের একই পদে কার্যকালের মেয়াদ তিন বছর হয়ে গিয়েছে। ফলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, ভোটে তাঁদের কাজে লাগানো যেত না। সেই কারণে এই বদলি।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে ১২টি জেলার জেলাশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশ প্রশাসনেও বড়সড় রদবদল করেছিল নবান্ন। তাঁদেরও কার্যকালের মেয়াদ নির্দিষ্ট পদে তিন বছর পার হয়েছিল। এ বার যে বদলি-নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক, মহকুমাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার আধিকারিকেরা রয়েছেন।
সরকারের বদলি-নির্দেশিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে বড় রদবদল হয়েছে ডব্লিউবিসিএস স্তরে। তার ১২১ জন অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। ২৬ জন বদলি হয়েছেন এসডিও পদে। ৩৭ জনকে বদলি করা হয়েছে বিভিন্ন জেলার এডিএম পদে। ৫৮ জন বদলি হয়েছেন বিভিন্ন দফতরে।
আইএএস স্তরে ৪০ জনের নাম বদলির তালিকায় রেখেছে সরকার। তাঁদের মধ্যে তিন জনের শুধু দায়িত্ব অদলবদল হচ্ছে। যেমন, পর্যটন দফতরের সিনিয়র বিশেষ সচিব শশাঙ্ক শেঠিকে দফতরের ডিরেক্টর করা হল। দার্জিলিংয়ের নতুন জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর।
হাওড়া পুরনিগমের কমিশনারের পাশাপাশি আইএএস অফিসার ধবল জৈনের অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল সেই জেলার এডিএম-এর। তিনি শুধু পুরনিগমের কমিশনার থাকছেন। বাকি ৩৭ জনের মধ্যে ১৩ জনকে বদলি করা হয়েছে যুগ্মসচিব পদে। ১৪ জন অফিসার বদলি হয়েছেন এডিএম পদে। ১০ জন আইএএস অফিসার বিভিন্ন দফতরে ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’-পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁদের এসডিও পদে বদলি করেছে সরকার।