ডেঙ্গি পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, তা নিয়ে জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে। —ফাইল ছবি।
প্রেসক্রিপশন ছাড়া প্যারাসিটামল বিক্রি করা যাবে না। রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ যখন বাড়ছে, তখন পুরনো সেই নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিল নবান্ন। একই সঙ্গে আরও এক বার মনে করিয়ে দেওয়া হল, প্রেসক্রিপশন ছাড়া পেন কিলারও বিক্রি করতে পারবে না ওষুধের দোকানগুলি। ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকাগুলির উপরেও নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
শুক্রবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় দুটো ভার্চুয়াল বৈঠক হয় নবান্নে। একটি বৈঠকে জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। অন্য বৈঠকটি করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, রাজ্যে ওই জেলায় সংক্রমণের অবস্থা সব থেকে খারাপ। পরিস্থিতির বিচারে তার পরেই রয়েছে কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর। ওই সব জেলার জেলাশাসকেরা মুখ্যসচিবের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। ওই জেলাগুলিতে কী ভাবে কাজ হচ্ছে, তা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চান মুখ্যসচিব। ডেঙ্গি পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, তা নিয়ে জেলাশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডেঙ্গি যে হেতু শহরাঞ্চলেই বেশি হচ্ছে, তাই পুর এলাকায় হেল্পলাইন চালু করতে বলা হয়েছে। ওই হেল্পলাইনে অভিযোগ করতে পারবেন নাগরিকেরা। কারও জ্বর হয়েছে বা কোথাও জমা জল মশার লার্ভা রয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ করবে পুরসভা। উৎসবের সময় সাধারণ মানুষ খুব সচেতন থাকবেন না। তাই প্রশাসনই এক ধাপ এগিয়ে গেল।
আরও জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি পুর এলাকায় কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিকল্পনা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রাখতে হবে। পুজোর আগে এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও সক্রিয় পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি দল পাঠানো হয়েছে। ওই দলে রয়েছেন এক জন জনস্বাস্থ্য আধিকারিক, এক জন মশা বিশারদ এবং চিকিৎসক।