আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১০ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ১১-১৩ মে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। এমন সতর্কবার্তা পেয়েই প্রশাসনিক কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচির বদলের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
আগামী সপ্তাহেই অশনি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায়। তার জেরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সেই পূর্বাভাস পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের দিন পরিবর্তন করল প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ১৭ মে মেদিনীপুর কলেজিয়েট ময়দানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক করবেন মমতা। পরদিন ১৮ মে তৃণমূলের পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদের নিয়ে এক রাজনৈতিক কর্মসূচি করবেন তিনি। প্রশাসন সূত্রের খবর, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্যই এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রীর মেদিনীপুর সফর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফর সেরে ১২ মে ঝাড়গ্রামে প্রাশসনিক বৈঠকের কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রী। তার দিন বদল করে করা হয়েছে ১৯ মে।
যদিও, বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে আগামী ১০ ও ১১ তারিখে এই দুই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেই প্রশাসনের কাছে আসতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় অশনি’র সতর্কবার্তা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১০ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ১১-১৩ মে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। এমন আগাম সতর্কবার্তা পেয়েই প্রশাসনিক কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচির পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। নবান্ন সূত্রের খবর, অশনি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও বিস্তারিত জানানো হয়। তিনি তাঁর সফরসূচি বদলে সম্মতি দিলে তা জানানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে।
বিষয়টি রাজ্য তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে। সেই মতো তাঁরাও সভা নিয়ে নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি বদলের কথা আমাদের জানানো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নেতা-কর্মীরা যদি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ নিতে সভায় আসতেই না পারেন, তাহলে সভার আয়োজন অনর্থক হয়ে যাবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর গোটা সফরই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরাও নেতা-কর্মীদের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। আশা করব, ১৭ ও ১৮ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হলে সবাই নির্বিঘ্নে সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবেন।’’