বিভিন্ন জেলা থেকে এমনই দৃশ্য উঠে আসছে। —নিজস্ব চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘিরে ভূরি ভূরি অভিযোগ। তার জেরে নবান্নে তলব করা হল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসকে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী তাঁকে তলব করেন। এ নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। তার পর সংসদকে উদ্ধৃত করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে নবান্ন। তাতে বলা হয়, রাজ্যের সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের ছাত্রছাত্রীদের অনুযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। সেই নিয়ে সামগ্রিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে সংসদে।
মহুয়া এবং মুখ্যসচিবের সাক্ষাতের পর সংসদকে উদ্ধৃ করে বিবৃতি প্রকাশ করে নবান্ন। তাতে বলা হয়, পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সমস্ত অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের উপরই এই দায়িত্ব বর্তায়।
করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে সংসদ। তার পরিবর্তে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রত্যেকের মূল্যায়ন করা হয়। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, ৯৭.৭০ শতাংশ পড়ুয়াই উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে কলা বিভাগে পাশের হার ৯৮.৪৭ শতাংশ, বিজ্ঞান বিভাগে ৯৯.২৮ শতাংশ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৯৯.০৮ শতাংশ।
নবান্ন থেকে প্রকাশিত সংসদের বিবৃতি। —নিজস্ব চিত্র।
সংসদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাশের হার ১০০ শতাংশ না হলেও রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গত দু’দিনে বিভিন্ন জেলা থেকে পরীক্ষার ফল নিয়ে ভূরি ভূরি অসন্তোষ জমা পড়েছে। জেলায় জেলা স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে জবাবদিহি চাওয়ার ঘটনাও চোখে পড়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে কলা বিভাগের ছাত্রীদের কম নম্বর দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও উঠেছে।
বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল সামনে আসার পর থেকে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলা থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভের ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে পরীক্ষাই নেওয়া হল না, সেখানে ফেল করার প্রশ্ন আসে কোত্থেকে, এমন প্রশ্নও তুলেছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। অবিলম্বে সকলকে পাশ করিয়ে দিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করল নবান্ন।