Calcutta High Court

‘দু’বছরেও তদন্ত শেষ হল না!’ অভিষেকের স্ত্রী এবং শ্যালিকার মামলায় প্রশ্ন হাই কোর্টের

কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “দু’বছর ধরে তদন্ত করছেন! এ বার তো তদন্ত শেষ করুন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০১
Share:

রুজিরা নারুলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেনকা গম্ভীর। —ফাইল ছবি।

অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে তদন্ত গত দু'বছরে কত দূর এগোল তা জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্ক দফতরের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “দু’বছর ধরে তদন্ত করছেন! এখনও শেষ হল না!”

Advertisement

শুক্রবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে কেন্দ্রীয় সরকারের এক আইনজীবী জানান, দিল্লি থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আসতে পারেননি। অন্য মামলায় আটকে গিয়েছেন। তাই এই কয়েক দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। আগামী ডিসেম্বর মাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে দু’বছর আগে করা মামলায় ফের আইনি তৎপরতা দেখা শুরু করে শুল্ক দফতর। কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা তাঁদের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ তোলে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুল্ক দফতর। সেই মতো বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল। যদিও বৃহস্পতিবার শুনানি হয়নি। শুক্রবার মামলাটি ফের শুনানির জন্য ওঠে। যদিও এর আগে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে স্বস্তিতে ছিলেন রুজিরা এবং মেনকা।

Advertisement

২০১৯ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে ব্যাঙ্কক থেকে রুজিরা এবং মেনকা কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। শুল্ক দফতরের অভিযোগ, ২ কেজি সোনা-সহ তাঁদের পাকড়াও করা হয়। পরে ভিআইপি পরিচয় দিয়ে গ্রিন করিডোর করে ওই দু’জনকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে আসে বিধাননগর পুলিশ। যদিও তাঁরা এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এর প্রায় ৬ দিন পর ২২ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে শুল্ক দফতর। পরে রুজিরা এবং মেনকাকে তলব করে তারা। ওই বছর ৮ এপ্রিল দুপুরে তাঁদের কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়।

শুল্ক দফতরের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেকের স্ত্রী এবং শ্যালিকা। তখন প্রথমে একক বেঞ্চে তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় শুল্ক দফতর। ২০২০ সালে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কিছু দিনের জন্য শুল্ক দফতরে হাজিরা দিতে হবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের সূত্রে খবর, মামলাটির শুনানি এত দিন সে ভাবে অগ্রসর হয়নি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছে শুল্ক দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement