The Phoenix

অবসাদের আগুনে পুড়েও নতুন করে বেঁচে ওঠার গল্প বলবে ‘দ্য ফিনিক্স’

ছবিটির চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ার, আবুধাবির বাসিন্দা জয়দীপ চক্রবর্তী। তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘সাবিত্রী প্রোডাকশনস’-এর ব্যানারেই নির্মিত হয়েছে ‘দ্য ফিনিক্স’ ছবিটি। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন পায়েল চৌধুরী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৯
Share:

‘দ্য ফিনিক্স’ ছবির কলাকুশলীরা

পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে যুগ যুগ ধরে উঠে আসছে ফিনিক্স পাখির নাম। কারণ, বিশ্বাস করা হয়, ফিনিক্সের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পুনর্জন্ম আর অমরত্বের বৈশিষ্ট্য। পুরাণ মতে, নিজের জ্বালানো আগুনে ভস্মীভূত হয়ে মারা যেত ফিনিক্স পাখি। এর পরে সেই ছাই থেকেই আবার জন্ম নিত শিশু ফিনিক্স। মৃত্যুর পরে ফিরে আসা অর্থাৎ এই পুনর্জন্মের ভাবনা থেকেই তৈরি হয়েছে অনুপ্রেরণামূলক চলচ্চিত্র ‘দ্য ফিনিক্স’।

Advertisement

ছবিটির চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ার, আবুধাবির বাসিন্দা জয়দীপ চক্রবর্তী। তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘সাবিত্রী প্রোডাকশনস’-এর ব্যানারেই নির্মিত হয়েছে ‘দ্য ফিনিক্স’ ছবিটি। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন পায়েল চৌধুরী। গত ২ ডিসেম্বর ছবিটির ট্রেলার ও মিউজ়িক লঞ্চের অনুষ্ঠান হয়ে গেল কলকাতার প্রেস ক্লাবে। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রী, সঙ্গীতশিল্পী-সহ অনেকেই।

‘দ্য ফিনিক্স’-এর চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক জয়দীপ চক্রবর্তীর কথায়, “সাম্প্রতিক কালে জীবনযাত্রা পরিবর্তনের কারণে ডিপ্রেশন আর ডিমেনশিয়ার মতো রোগ এখন ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। মানসিক অবসাদের কারণে মানুষ এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যে, বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছে। কিন্তু ডিপ্রেশন আর ডিমেনশিয়া মানেই সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। পরিমিত যত্ন, বিশেষজ্ঞদের সঠিক পরামর্শ এই রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে আপনাকে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে।”

Advertisement

বাঁ দিক থেকে পরিচালক পায়েল চৌধুরী, অভিনেতা বোধিসত্ত্ব মজুমদার ও চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক জয়দীপ চক্রবর্তী

“ডিপ্রেশন ও ডিমেনশিয়া কবলে পড়েও মৃত্যুর ইচ্ছেকে দমন করে লড়াই করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার এই প্রেক্ষাপটকেই ফিনিক্স পাখির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ‘দ্য ফিনিক্স’ ছবিটি ইংরেজিতে করার একটাই উদ্দেশ্য, যাতে বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষ সিনেমাটি দেখতে পারেন। ‘দ্য ফিনিক্স’ দেখার পরে যদি কিছু মানুষেরও জীবন পরিবর্তন হয়, তা হলেই ছবিটি তৈরি করা সার্থক হবে।”

পরিচালক পায়েল চৌধুরীর কথায়, “দ্য ফিনিক্স-এর গল্পটায় মূলত ডিপ্রেশন ও ডিমেনশিয়া- এই দু’টি বিষয়কেই তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে একটি মেয়ের জীবনের লড়াইয়ের গল্প, যে এই বর্তমান সময়ের ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতে গিয়ে নিজেকে পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে এবং আত্মহত্যা করতে যায়। কিন্তু আবার সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে, ঠিক যে ভাবে ছাই থেকে জন্ম নেয় নতুন ফিনিক্স পাখি- সেই কাহিনি নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘দ্য ফিনিক্স’ ছবিটি। জয়দীপদা নিজে খুব যত্ন নিয়ে এই ছবির গানও লিখেছেন, ‘সানশাইন অফ দ্য লাইফ’। জানুয়ারির শেষের দিকে ছবিটি হলে মুক্তি পাচ্ছে। এ বার বাকিটা দর্শকদের হাতে, তাঁরা কী ভাবে ‘দ্য ফিনিক্স’ ছবিকে গ্রহণ করেন, এখন সেটাই দেখার।”

ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন টলিপাড়ার অন্যতম নামী অভিনেতা বোধিসত্ত্ব মজুমদার। তিনি বলেন, “এই ছবিতে চরিত্রের সংখ্যা এমনিতেই খুব কম। যদিও এটা একটা ভাল দিকও বটে। ‘দ্য ফিনিক্স’ ছবিটি পুরোপুরি একটি ফিচার ফিল্ম নয়, বরং শর্ট ফিল্ম বলা যেতে পারে। ছবিতে আমার চরিত্রটা হল বয়স্ক এক জন মনস্তত্ত্ববিদের, যিনি এখন খুব একটা বেশি প্র্যাকটিস করেন না। তবে ছাত্রের সহযোগিতায় তিনি এখনও রোগী দেখেন। সেখানেই চিকিৎসা করাতে আসে ছবির নায়িকা। এর পরে সেখানে কী কী হয়, তা নিয়েই ছবির গল্প। নবাগতা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে এই ছবিতে কাজ করেও বেশ ভাল লেগেছে। সব মিলিয়ে ‘দ্য ফিনিক্স’ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আমার কাছে খুব ভাল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement