municipal election

Municipal Election: ডিসেম্বরেই কি রাজ্যে পুরভোট? প্রশাসনে চর্চা শুরু হলেও মন্ত্রী বলছেন, ‘তথ্য নেই’

অনেকের ধারণা, সব দিক অনুকূলে থাকলে ১৮- ১৯ ডিসেম্বর নাগাদ কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর কর্পোরেশনের ভোট হওয়া অসম্ভব নয়।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৫:১৪
Share:

কলকাতা পুরসভা। ফাইল চিত্র।

বিধানসভার বকেয়া ভোটগুলি হয়ে যাওয়ার পরে বাকি থাকবে রাজ্যের পুরনির্বাচন। সেই ভোট কবে হবে, তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তা করে ফেলা করা যায় কি না, তেমন একটি চর্চা ঘুরছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement

অনেকের ধারণা, সব দিক অনুকূলে থাকলে ১৮- ১৯ ডিসেম্বর নাগাদ কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর কর্পোরেশনের ভোট হওয়া অসম্ভব নয়। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, পুরনির্বাচনের দিন স্থির করে রাজ্য সরকার তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানায়। তাই যার অর্থ পুরভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে। নবান্নের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত এ সব নিয়ে কোনও কথা বলেননি। কলকাতা পুর প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এ ব্যাপারে তথ্য নেই।

ভবানীপুর সহ তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শেষ হতেই পুরভোট সম্পন্ন করার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রেই আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যে আরও যে চার বিধানসভা আসনে নির্বাচন হচ্ছে, তার পরপরই প্রশাসনিক স্তরে পুরভোটের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বকেয়া পুরভোট সেরে ফেলতে রাজ্য সরকার সবসময়ই আগ্রহী।

Advertisement

কিন্তু করোনা সহ পারিপার্শ্বিক সব পরিস্থিতি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হবে। এবং সে সব বিবেচনা করেই মুখ্যমন্ত্রী দিনক্ষণে সিলমোহর দেবেন।’’

রাজ্যের ১১৬ টি পুরসভার ভোট বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা সহ রাজ্যের সাতটি কর্পোরেশনও রয়েছে। কলকাতা পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালে। সেই সময় নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক যে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি হয়েছিল এ বার তার ভিত্তিতেই ভোট হওয়ার কথা। এবং ডিসেম্বরেই পুরভোট করতে হলে তা হবে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটার তালিকার অনুযায়ী।

পুরভোটে দলের প্রার্থী বাছাই নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে চর্চা রয়েছে। দলের একাংশের ধারণা, সং‌রক্ষণ এবং সাংগঠনিক কারণে এ বার বড় সংখ্যক ওয়ার্ডেই নতুন মুখ আনা হতে পারে। দলের সেই প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সায় পাওয়া গেলে তা রূপায়ণে সাংগঠনিক স্তরেও বাড়তি কাজ থাকবে। তাই ভোটের দিনক্ষণের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তৃণমূলের জেলা কমিটিগুলি। বিশেষ করে প্রার্থী বাছাইয়ে দলে চালু হওয়া ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়েও চর্চা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement