—ফাইল চিত্র।
কর্মসূচির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে দফায় দফায়। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না-হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে পুরসভাকে। উন্মুক্ত শৌচ মুক্তি প্রকল্পের (ওডিএফ) লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সেই পথেই হাঁটার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের মাপকাঠিতে রাজ্যের ৫২টি পুরসভায় উন্মুক্ত শৌচ মুক্তি প্রকল্প শেষ হতে বাকি আছে। সেই কাজ শেষ করতে তিন বার (৭ ডিসেম্বর, ১৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর) লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তাতেও লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি পুরসভাগুলি। ৯০ শতাংশতেও পৌঁছতে পারেনি ৪০টি পুরসভা।
৩১ জানুয়ারির মধ্যে ওডিএফ প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য নতুন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে পুর দফতর। এখনও পর্যন্ত যে-চল্লিশটি পুরসভা ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারেনি, সেই সব পুরসভার কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ফিরহাদ। সেই চিঠিতে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন গুড়ের পিঠে-মিষ্টি চাখতে চলেই আসতেন বিমল মিত্তির
পুর দফতর সূত্রের খবর, মন্ত্রীর চিঠিতে লেখা হয়েছে, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ওডিএফ প্রকল্পের জিয়ো ট্যাগিং শেষ করে দফতরের সচিবের কাছে রিপোর্ট পাঠানো বাধ্যতামূলক। যদি কোনও ভাবে কোনও পুরসভা এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না-পারে, তা হলে অন্য পথে সেই কাজ শেষ করবে পুর দফতর। সে-ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুরসভায় ওডিএফ প্রকল্পের জন্য যে-অর্থ বরাদ্দ, তা কেটে নেওয়া হবে। হুঁশিয়ারির সঙ্গে চিঠির শেষাংশে আশার কথাও শুনিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি লিখেছেন, বাকি থাকা কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার পক্ষে পুর-কর্তৃপক্ষ যথেষ্টই যোগ্য এবং নিষ্ঠাপরায়ণ। তাই শেষ পর্যন্ত বরাদ্দ অর্থ কাটার মতো পথে হাঁটতে হবে না বলেই আশা করছেন তিনি।
গত ৫ নভেম্বর রাজ্যের সব পুরসভার কর্তৃপক্ষ এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের উপস্থিতিতে ওডিএফ প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী। সেই বৈঠকে তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়েও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেখানে ওডিএফ নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্যে সম্মতি দিয়ে ইতিবাচক মনোভাবও দেখিয়েছিলেন বিভিন্ন পুরসভার কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকের কথাও চিঠিতে পুর-কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। ওই প্রকল্পের গতি বাড়াতে জেলায় জেলায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পুর দফতরের যুগ্মসচিব পর্যায়ের অফিসারেরা। তার পরেও কোনও কোনও পুরসভা ‘গয়ংগচ্ছ’ মনোভাব দেখিয়েছে বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের খবর।
আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোটের সম্ভাবনা আছে। তাই কাজ শেষের জন্য পুরমন্ত্রীর বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।