mukul roy

৬৭-র মুকুল রায় কি পাবেন সুজনের ৬৫! বিধানসভার আসন বণ্টন নিয়ে চলছে জল্পনা

বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি তুললেও বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গেই বসতে হবে মুকুলকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২১ ১৯:৩৪
Share:

পিটিআই।

রাজনৈতিক আয়ু অনেক বেশি হলেও ৬৭ বছর বয়সে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন মুকুল রায়। কিন্তু ভোটের পরে দলবদল করায় তাঁর বিধায়ক পদ নিয়ে অনেক বিতর্ক। তৃণমুলে যোগ দিলেও খাতায় কলমে তিনি বিজেপি বিধায়ক। তাই এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে বিরোধী আসনেই বসবেন মুকুল রায়। সে ক্ষেত্রে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবি তুললেও বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গেই বসতে হবে মুকুলকে। কিন্তু কোন আসনে? বিধানসভা সূত্রে খবর, গত বিধানসভায় অধিবেশন চলার সময় সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী যে ৬৫ নম্বর আসনে বসতেন সেটাই বরাদ্দ করা হতে পারে মুকুলের জন্য।

Advertisement

কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপি-র প্রতীকে জিতলেও গত ১১ জুন পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে এসে শাসকদলে যোগ দেন মুকুল। কিন্তু তিনি খাতায় কলমে যেহেতু বিজেপি বিধায়ক তাই বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী আসনেই বসতে হবে তাঁকে। তবে স্পিকার চাইলে তা বদলাতেই পারেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মুকুল তেমন কোনও আবেদন জানাননি।

কেন ৬৫ নম্বর আসন? আসলে বিধানসভায় যে আসন বিন্যাস তাতে বিরোধী শিবিরের হলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। গত বিধানসভায় বিধায়ক থাকলেও এ বার যাদবপুর আসনে পরাজিত হয়েছেন সুজন। বাম পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে তিনি ৬৫ নম্বর আসনে বসতেন। এ বার শুধু তিনিই নন, বিধানসভায় কোনও উপস্থিতিই নেই সিপিএম তথা বামেদের। জোট সঙ্গী কংগ্রেসেরও একই অবস্থা। তাই ৬৫ নম্বর আসনের অন্য দাবিদার নেই। সাধারণ ভাবে এই আসনটি বরাদ্দ হয় বিরোধী দলের বর্ষীয়ান নেতাদের জন্যই। সেই হিসেবেও একেবারে সামনের সারিতে ৬৫ নম্বর আসনটিই বিরোধী পক্ষের হলেও শাসক দলের কাছের বিধায়ক মুকুলের জন্য বরাদ্দ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

Advertisement

প্রথম বার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলেও রাজ্য রাজনীতিতে মুকুল যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি-তে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি নির্বাচনের পরে দলবদল করায় তার ছাপ পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। প্রধান ও একমাত্র বিরোধী দল বিজেপির ইচ্ছা ও সমর্থন ছাড়াই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র সদস্য হয়েছেন মুকুল। সব কিছু ঠিক থাকলে আয়ব্যয়ের হিসেব সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যানও হতে পারেন তিনি। প্রথা মতো এই পদটি বিরোধী দলের কোনও সদস্যের প্রাপ্য। তাই বিধানসভার ভিতরে মুকুল ‘বিরোধী’ শিবিরেই বসবেন। তবে বিধানসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখেই বিধায়কদের আসন বণ্টন হচ্ছে। এখনও কোনও আসন কারও জন্য নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলা যাবে না।

তবে তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে মুকুলের পুনর্বাসন নিয়ে খুশি নন প্রাক্তন বিধায়ক সুজন। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘চেয়ার কখনও কার জন্য চিরকাল থাকে না। আমি যখন প্রথম বিধায়ক হই, তখন অন্য আসনে বসতাম। ২০১৬ সালে বিধায়ক হয়ে ওই আসনে বসতাম। শুনছি, আগামী দিনে মুকুল রায় ওই আসন বসবেন। এটা নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কোনও বক্তব্য নেই। তবে ওই আসনটি বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়কদের জন্যই থাকে। এটাই রীতি। অথচ সেই আসনে এমন একজন ব্যক্তি বসবেন, যাঁর রাজনৈতিক অবস্থান দু’রকম। তবে বিষয়টা শুনে কেমন যেন একটা মনে হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement