মুকুল রায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে দিল্লি যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দিল্লিতে থাকতে পারেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। খাতায়কলমে গেরুয়া শিবিরের হলেও গত ১১ জুন ঘটা করে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। সেই মেগা যোগদানে উপস্থিত ছিলেন মমতাও। ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই যোগদান পর্ব দেখেই বোঝা গিয়েছিল শাসকদল কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের প্রত্যাবর্তনকে।
এর পরে মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবিতে বিধানসভা থেকে রাজ্যপালের কাছে বিজেপি দরবার করলে তৃণমূল মুকুলের পাশে থেকেছে। অনেক বিতর্ক সত্বেও মুকুলকে বিধানসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান করেছে তৃণমূল। এখন জল্পনা, মমতার দিল্লি সফরেও মুকুল সঙ্গী হতে পারেন। তবে মমতার সঙ্গেই তিনি দিল্লি যাবেন, নাকি আলাদা, তা নিয়েও দ্বিমত রয়েছে। তৃণমূলের অনেকে বলছেন, মমতা চান, একই বিমানে মুকুলকে নিয়ে দিল্লি যাবেন তিনি। তবে অন্য একটি অংশের দাবি, মমতার আগেই দিল্লি চলে যাবেন মুকুল।
তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গত ৫ মে শপথ নিয়েছেন মমতা। তার পরে আর দিল্লি যাননি তিনি। তবে খুব তাড়াতাড়ি তিনি দিল্লি যাবেন বলে নিজেই জানিয়েছেন। সেই সফরে সময় পেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মমতা। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘প্রতি বছর সংসদে অধিবেশন শুরু হলে আমি এক বার দিল্লি যাই। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। অনেক নতুন বন্ধুর সঙ্গেও দেখা হয়। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এ বার ভোটে জেতার পরে যাওয়া হয়নি। এক বার দিল্লি যাব। তবে, কবে যাব সেটা এখনও ঠিক করিনি।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘এ বার গিয়ে সময় পেলে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করব।’’
মমতা অবশ্য কী উদ্দেশে দিল্লি যাবেন তা স্পষ্ট করেননি। তবে তৃণমূলের পক্ষে আগেই জানানো হয়েছিল, এ বার অন্য রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দেবে দল। আগামী ২১ জুলাই তৃণমূল ভার্চুয়াল মাধ্যমে হওয়া শহিদ দিবস পালনকেও সর্বভারতীয় চেহারা দেওয়ার কথা ভাবছে। তার ঠিক আগে তাৎপর্যপূর্ণ মমতার দিল্লি সফর। সেই সফরের সময় একদা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুলের দিল্লিতে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে।