মুকুল রায়।
আগামী বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপি হেরে গেলে তাঁকে রাজ্য ছাড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। বি আর অম্বেডকরের প্রয়াণ দিবস পালনের সভায় রবিবার মুকুলবাবু বলেন, ‘‘২০২১-এর বিধানসভা ভোট আমাদের কাছে বাঁচা-মরার লড়াই। এই ভোটে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসতে না পারে, তা হলে আমার মতো মানুষদের আর পশ্চিমবঙ্গে থাকার জায়গা থাকবে না! এটা নতুন আঙ্গিকের লড়াই।’’
প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন মুকুলবাবু তো ওই দলেরই নেতা ছিলেন। তিনি এ সব কাজ করেছিলেন নাকি? নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর জানা উচিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। জামা বদলে মুকুলবাবু বোধহয় গণতন্ত্রের পাঠ ভুলে গিয়েছেন!’’
মুকুলবাবুর এই বক্তব্যকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত ভয়’ হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। তাঁদের মতে, মুকুলবাবুর বিরুদ্ধে যে হেতু এ রাজ্যে বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক অভিযোগের মামলা রয়েছে, তাই তিনি ভয় পাচ্ছেন, তৃণমূল রাজ্য সরকারে ফিরে এলে তাঁর বিপদ হতে পারে। যদিও বিজেপির ব্যাখ্যা, মুকুলবাবু বলতে চেয়েছেন, তৃণমূল জমানায় পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী থেকে শুরু করে আম জনতা— সকলেরই গণতান্ত্রিক অধিকার বিপন্ন। তাই ভোটে তৃণমূলকে হারাতে না পারলে সেই বিপদ আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: নীলবাড়ির লক্ষ্যে মমতা-মোকাবিলা, বঙ্গ বিজেপির বাছাই একাদশ
আরও পড়ুন: ‘রাজ্য চালাচ্ছেন ভাইপো’, নাম না করে ফের অভিষেককে তোপ কৈলাসের
মুকুলবাবু এ দিন ওই সভায় আরও বলেন, ‘‘আমাকে চাণক্য বলে লজ্জা দেবেন না! যদি ২০২১-এ সত্যি সত্যি ২০০ আসন নিয়ে বিজেপির সরকার গড়তে পারি, তখন যা বলার, বলবেন।’’ ওই সভা থেকেই বিজেপি কর্মীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘‘নিজের বুথ সামলান। সেখানে জিতুন। দেখবেন, তা হলেই রাজ্যে বিজেপি জিতবে।’’ মুকুলবাবুর আরও দাবি, ২০১১ সালে যেমন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন, যা চলছে, তা চলতে থাকলে এই ভোটে ভবানীপুর বিধানভা কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জিতবেন কি না— এটা বড় প্রশ্ন। মন্ত্রী তাপসবাবুর পাল্টা মন্তব্য, ‘‘সিপিএমও তো কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে চেষ্টা করেছিল। হিম্মত থাকলে ওঁরাও (বিজেপি) এক বার চেষ্টা করে দেখুন না! মুখ পুড়বে!’’