শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়। গ্রাফিক — শৌভিক দেবনাথ।
দলত্যাগ নিয়ে আগামী শুনানিতেও মুখোমুখি না হতে পারেন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী। আগামী শুক্রবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের শুনানি রয়েছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু, বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুকুল রয়েছেন দিল্লিতে। আর মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি থেকে ফেরার কথা ওইদিনই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই দিল্লি থেকে ফিরবেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক। তাই শুক্রবারের শুনানিতে অংশ নাও নিতে পারেন মুকুল। শুক্রবার বিকেল ৩টে নাগাদ এই শুনানির সময় ধার্য হয়েছে। তবে ওইদিনের শুনানির জন্য নিজেদের আইনি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আবেদন করেছেন, মুকুলের শুনানিতে তাঁর সঙ্গে যেন থাকতে দেওয়া হয় এক আইনজীবী ও কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়কে। যদিও, সেই অনুমতি এখনও পাওয়া যায়নি বলেই বিধানসভা সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকাই মুকুলের পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। অম্বিকা পেশায় আইনজীবী। তাই শুনানিতে তাঁর উপস্থিতির আর্জি জানানো হয়েছে স্পিকারের কাছে। প্রথম শুনানিতেও মুখোমুখি হননি মুকুল-শুভেন্দু। কারণ, ওইদিন আগেই বিধানসভায় এসে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মুকুল। আর পৃথক ভাবে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।
শুক্রবার শুনানির আগে দুপুর ১২টায় রয়েছে পিএসি-র বৈঠক। কিন্তু, মুকুল দিল্লিতে থাকায় সেই বৈঠকেও সম্ভবত যোগ দিতে পারবেন না তিনি। তবে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলেও, অন্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে সেই বৈঠক করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পিএসি-র সদস্য বিধায়করা যে কেউ বৈঠক পরিচালনা করতে পারেন। ওই কমিটির সদস্য বিজেপি বিধায়করা সেই বৈঠকেও যাবেন না। তাঁরা ঘোষণা করেছেন, যতদিন মুকুল পিএসি -র চেয়ারম্যান থাকবেন ততদিন তারা ওই কমিটির বৈঠকে যাবেন না। তবে বিধানসভার অন্য কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা।