—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এবং পুরসভার ‘প্রভাবশালী’ ইঞ্জিনিয়ারদের বাড়ি থেকে নানা তথ্য পেয়েছে ইডি। এ বার সেই তথ্যের উপরে ভিত্তি করে পুর নিয়োগ দুর্নীতি কোন পথে এগোবে তা নিয়েই নানা মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখে দুর্নীতির টাকা কোথায় গিয়েছে তার সুলুকসন্ধান করা হবে। শুক্রবার রাজ্যের দুই নেতা-মন্ত্রীর বাড়ি থেকে প্রাপ্ত তথ্যও সে কাজে লাগবে। ইডি-র এক কর্তার দাবি, প্রাপ্ত নথি খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমির দুটি বাড়ি এবং অফিস, বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়ের কলকাতার বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি। তল্লাশি হয়েছে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও। ওই তিন জনের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন নথিপত্র।
ইডি জানিয়েছে, নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি এর আগে কামারহাটি পুরসভায় এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বাগুইআটির বাড়ি থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ও আড়াই কিলোগ্রাম সোনা ও রুপোর গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গয়নার বর্তমানে বাজার মূল্য ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকার বেনামে সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভায় যোগ দেওয়া ওই ইঞ্জিনিয়ারের সম্পত্তি এত দ্রুত হারে কী ভাবে বাড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি। উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা ও গয়না বাজেয়াপ্তকরণের প্রক্রিয়ায় শুরু করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেছে।