পরে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর জানতে পারেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম এবং ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। তাঁরাই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে অ্যাডমিট কার্ড হাতে মীরজানা খাতুন।
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেল বাসুলডাঙার মীরজানা খাতুন। রবিবার রাতে ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাই স্কুলে অ্যাডমিট কার্ড নিতে আসে ওই পরীক্ষার্থী।
বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড না-আসায় পরীক্ষা দিতে না-পারার আতঙ্কে শনিবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মীরজানা। কেন বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড আসেনি, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে জানতে চেয়েছিল সে। দরখাস্তে সই করে এসেছিল। কিন্তু তার পরেও অ্যাডমিট কার্ড না আসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তাকে উদ্ধার করেন বাবা সালামত।
পরে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর জানতে পারেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম এবং ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। তাঁরাই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এর পরেই তড়িঘড়ি ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সাংসদের প্রতিনিধি। শিক্ষা দফতরকেও সংশ্লিষ্ট স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করে দিতে বলা হয়। খবর পেয়ে এসডিপিও মিতুন দে খাতা, ডায়েরি, কলম ও ফল নিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সেই সঙ্গে সোমবার পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে বলা হয় মীরজানাকে। এর পরেই রবিবার রাতে অ্যাডমিট হাতে পেল সে। মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা, এসডিপিও মিতুন, পুরসভার প্রতিনিধি এবং বাবা-মায়ের উপস্থিতিতে ছাত্রীর হাতে অ্যাডমিট কার্ড তুলে দেওয়া হয়।