মোশারফ হোসেন । নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন একদা শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ মোশারফ হোসেন (মধু)। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়ার পরেই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে এসেছিলেন মোশারফ। বিধানসভা নির্বাচনে নওদা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটে পরাজিত হন। এরপরেই বুধবার তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের খান ঘোষণা করেন, ২৪ মে মোশারফের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই জেলা পরিষদের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মোশারফ।
একদা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোশারফ। শুভেন্দু দল বদলের সময়ই তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। মুর্শিদাবাদে জেলার ২২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ভোট হয় ২০টিতে। তার মধ্যে ১৮টি আসনে জেতে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরই মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ পুনরুদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে তৃণমূল। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সভাধিপতি ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথাও ঘোষণা করে। কিন্তু সেই অনাস্থা আনার আগেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মোশারফ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘মানুষের রায় মাথা পেতে নিতে হবে। মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেস অনেকটাই রাজনৈতিক জমি হারিয়েছে। সেই বাস্তবের কথা মাথায় রেখে আমার জেলা সভাধিপতির পদ ধরে রাখা উচিত নয় বলেই মনে করি। তাই আমি পদত্যাগপত্র বুধবারই পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ তবে কি তিনি ফের তৃণমূলে ফিরবেন? প্রশ্নের উত্তরে মোশারফ জানিয়েছেন, ‘‘এই কথাটা বলা অসম্ভব। আমি যেখানে আছি, সেখানেই থাকব। শূন্য থেকে আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার আবার শুরু করব।’’