ছবি: সংগৃহীত
সারা রাজ্যে স্কুলের সাব-ইনস্পেক্টর বা অবর স্কুল পরিদর্শকের ৩৩৯টি পদ শূন্য। পিএসসি বা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৩৮টি পদে নিয়োগের প্যানেলও তৈরি হয়েছে এবং গত মার্চে তা পৌঁছেও গিয়েছে বিকাশ ভবনে শিক্ষা দফতরে। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, শিক্ষা দফতর থেকে নিয়োগের বাকি কাজ না-হওয়ায় জেলার বিভিন্ন সার্কলে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নিয়োগ আটকে রয়েছে। নতুন নিয়োগ না-হওয়ায় এক-এক জন পরিদর্শককে একাধিক সার্কলের কাজ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা জানাচ্ছেন, লকডাউনের মধ্যে স্কুল বন্ধ থাকলেও তাঁদের কাজ থেমে নেই। হুগলির এক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, স্কুল বন্ধ থাকলেও কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী প্রকল্প, সাইকেল বিতরণের তালিকা তৈরি, মিড-ডে মিল-সহ নানা ধরনের কাজ তাঁদের করতে হচ্ছে অফিসে বসেই। এই অবস্থায় এক-এক জন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে একটির জায়গায় দুই থেকে তিনটি সার্কলের কাজ করতে হচ্ছে। যেটা খুবই কঠিন।
এমন অবস্থা কেন? সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ সার্কলেই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় পরিদর্শক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা কালীপদ সানা বলেন, ‘‘কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার ২৩টি সার্কলের মধ্যে ১১টিতে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নেই। উত্তর ২৪ পরগনার ৫৭টি সার্কলের মধ্যে ১৪টিতে ওই পদ খালি। ফলে স্কুলের অনেক কাজই আটকে যাচ্ছে বা দেরিতে হচ্ছে। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকলেও বিকাশ ভবনের শিক্ষা দফতরের অফিস খোলা। পিএসসি নিয়োগের প্যানেল পাঠানোর পরেও নিয়োগের বাকি কাজ কেন হচ্ছে না, সেটা বড় প্রশ্ন।’’
অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদে শেষ নিয়োগ হয়েছিল ২০১৭ সালে। কয়েক জন প্রার্থী জানান, ২০১৮-য় ফের নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেরোয়। প্রায় তিন বছর পরে, গত মার্চে প্যানেল প্রকাশ করে পিএসসি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কী ভাবে হবে, এই মুহূর্তে সেটা দেখাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়াও থমকে নেই। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদ কোথায় কোথায় খালি রয়েছে, খতিয়ে দেখে সেই অনুযায়ী নিয়োগের কাজ হবে।’’