বাড়বে ক্যামেরা, পাহারাও

নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তা বাড়াতে তাই উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০ ০০:৪৯
Share:

নেওড়া ভ্যালি। —ফাইল চিত্র

এই বনে বাঘ আছে, সে কথা এখন সকলেরই জানা। তাই বনের নিরাপত্তা জরুরি হয়ে পড়েছে, বলছে বনবিভাগই। নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তা বাড়াতে তাই উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।

Advertisement

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬০০ ফুট ওপর থেকে শুরু হয় কালিম্পং জেলার ভৌগোলিক সীমায় থাকা নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যান। এই জঙ্গলটি বিস্তৃত দশ হাজার ফুটেরও বেশি উঁচু পর্যন্ত। এই পাহাড়ি জঙ্গলে নিরাপত্তার দিক থেকে বছর দুয়েক আগে পর্যন্ত তেমন জোর দেয়নি বন দফতর। তিন বছর ধরে এই জঙ্গলে বারবার রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের দেখা দেওয়ায় পুরো চিত্রটিই বদলে দিয়েছে। রাজ্যের বন দফতরের কাছে নেওড়া ভ্যালির গুরত্ব বেড়েছে। পশু কর্মীরা নেওড়া ভ্যালি নিয়ে আগ্রহী হয়েছেন। জাতীয়স্তরে বাঘ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সরকারি-বেসরকারি সংগঠনগুলিও এই জঙ্গল নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। এই ডিসেম্বরে ফের নেওড়ার জঙ্গলের ট্র্যাপ ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গলের ছবি মেলায় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে বন দফতর। বাঘটি নেওড়া ভ্যালির স্থায়ী বাসিন্দা, নাকি নিছক শীতের অতিথি, তা নিয়ে অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয় বন দফতর।

জলপাইগুড়ির ডিএফও নিশা গোস্বামীর কথায়, “স্থায়ী বাসিন্দা হোক বা অতিথি, আমাদের জঙ্গলে যখন থাকতে এসেছে, তখন নিরাপত্তা দিতেই হবে। নেওড়ার জঙ্গলে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা সম্পর্কিত কিছু পরিকাঠামোও বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।”

Advertisement

কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর? প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, জঙ্গলে নিরাপত্তার ছাউনি তথা ক্যাম্প বাড়ানো হবে। বর্তমানে ৮৮ বর্গ কিমি জঙ্গলে ১৪টি ক্যাম্প রয়েছে। এ বার তার সংখ্যা বাড়বে। বাড়ানো হবে কর্মী সংখ্যাও। বন দফতর মনে করছে, শীতের সময় বেশি ঠান্ডা এলাকাগুলি থেকে বাঘ নীচে নেমে আসে। তাই শীতের তিন মাস টহলদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জঙ্গলে কেউ ঢুকলে তা যেন সহজেই নজরে আসে, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে দাবি। এখন ১৫টি ট্র্যাপ ক্যামেরা রয়েছে। বাড়ানো হবে সেই ক্যামেরার সংখ্যাও।

বন দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “পাহাড়ি জঙ্গল বলে আশেপাশে জনবসতি নেই। পরপর কয়েক বছর ধরে বাঘ দেখা যাচ্ছে— এটা চোরাশিকারিদের চোখ এড়াবে না। নেওড়ার নিরাপত্তা খোলনলচে বদলানো দরকার, দ্রুত।” এক বনকর্মীর কথায়, “ছবি দেখে মনে হচ্ছে, জঙ্গলের চারপাশ বাঘটির চেনা। অর্থাৎ কিছু দিন সে সেখানে আছে।” নেওড়ার জঙ্গলকে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প ঘোষণা করার দাবি উঠেছিল। এ বার কি সে দিকে পদক্ষেপ করা হবে, প্রশ্ন সকলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement