—প্রতীকী চিত্র।
সুন্দরবন এলাকায় যোগাযোগ আরও সুগম করতে স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। এ জন্য সুন্দরবনের ৩টি ব্লক ও ডায়মন্ড হারবারে আলাদা আলাদা ভাবে জায়গা বরাদ্দের কাজ শেষ। স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি হলে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় যাতায়াত আরও সুবিধাজনক হবে।
ঘূর্ণিঝড় এবং ভরা কোটালে নদী-সমুদ্রে জলস্ফীতির জেরে বার বার বিপর্যয়ের মুখে পড়েন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। বিপর্যয়ের সময় সুন্দরবনের দ্বীপ এবং দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। সেই কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের ৩টি ব্লকে এবং ডায়মন্ড হারবারে একটি স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবারে স্থায়ী হেলিপ্যাড হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইয়াসের পরই জেলার চারটি ব্লকে স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়। এরপর জুলাই মাসে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহণ দফতরকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাবে রাজ্য সরকারের সবুজ সঙ্কেত চলে এল। দ্রুত পূর্ত দফতরের মাধ্যমে হেলিপ্যাডের কাজ শুরু করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির জন্য গোসাবা ব্লকের কৃষক বাজার সংলগ্ন মাঠে ১.৭৮ একর, পাথরপ্রতিমার গোপালনগর গ্রামপঞ্চায়েতে ১.০১ একর, কাকদ্বীপের শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ একর এবং ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের মাথুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২.০৭ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। হেলিপ্যাড চালু হলে সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকায় উদ্ধারকাজ, ত্রাণ বন্টন এবং মুমূর্ষু রোগীকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসতে সুবিধা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনে সরকারি প্রতিনিধি ও আধিকারিকরা দ্রুত পৌঁছে যেতে পারবেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায়।
জেলাশাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, ‘‘ইয়াস ও আমপানের সময় কাজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি সুন্দরবনে স্থায়ী হেলিপ্যাড কতটা জরুরি। তাই চার জায়গায় স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়। আবেদন মঞ্জুর করেছে পরিবহণ দফতর।’’ রাজ্যের পরিবহন প্রতিমন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মন্ডল জানিয়েছেন, ‘‘হেলিপ্যাড তৈরি হলে সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবেন। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।’’